নগরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়েছেন বাংলাদেশে আগত যুক্তরাজ্য নৌ-বাহিনীর রাজকীয় যুদ্ধজাহাজের কমান্ডিং অফিসার কমান্ডার ম্যাট সাইকস। তিনি বলেন, এখানকার উষ্ণ তাপমাত্রা অসহনীয় হলেও এখানে ঘুরে ফিরে চিত্তসুখ উপভোগ করেছি। তাই চট্টগ্রামের প্রতি আমার প্রাণের টান বেড়েছে। চট্টগ্রামের যে অর্থনৈতিক গুরুত্ব রয়েছে তার যথার্থ ব্যবহার শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্বের জন্যই যথেষ্ট অর্থবহ। আমি চট্টগ্রামের মানুষের অতিথিপরায়ণতা সম্পর্কে জানতাম, তার প্রমাণ আজ আবারও পেলাম। গতকাল টাইগারপাস নগর ভবনের অস্থায়ী কার্যালয়ে পরিদর্শনে এসে এসব কথা বলেন তিনি। ম্যাট সাইকসসহ যুক্তরাজ্যের বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রতিনিধিদলকে নগর ভবনে স্বাগত জানান চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম। তিনি বলেন, চট্টগ্রামের সাথে ব্রিটিশ রাজন্যবর্গ ও জনগণের ঐতিহাসিক ও ঐতিহ্যগত সম্পর্ক রয়েছে। ব্রিটিশ শাসনামলে এখানে সে দেশের বহু সম্মানিত নাগরিক এখানে পদস্থ কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন। তারা শিক্ষাসহ বিভিন্ন সেবামূূলক কার্যক্রমে সমাজকে আলোকিত করেছেন। নগরীর অনেকগুলো নান্দনিক ভিক্টোরিয়ান স্থাপনা ও খ্রিস্টীয় উপাসনালয় চট্টগ্রামের সৌন্দর্যের শ্রীবৃদ্ধি করেছে। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম পৃথিবীর অন্যতম প্রধান প্রাকৃতিক সমুদ্র বন্দর এবং এই নগরী রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক হৃদপিণ্ড। চট্টগ্রাম বন্দর সম্প্রসারণ, বে-টার্মিনাল, গভীর সমুদ্র বন্দর, কর্ণফুলী তলদেশ দিয়ে টানেল নির্মাণ বাস্তবায়নের পথে। তাই চট্টগ্রামের গুরুত্বও বহুমাত্রিক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশস্থ ব্রিটিশ আর্মি ডিফেন্স অ্যাডভাইজার লেফটেন্যান্ট কর্নেল এলান হিনটন, বাংলাদেশ নৌ-বাহিনীর লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মো. নাহিদ, চসিক সচিব খালেদ মাহমুদ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আলী প্রমুখ।