বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ৪৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে শিল্পকলা একাডেমির সদস্যসহ শিল্প সংস্কৃতি সংশ্লিষ্ট সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন জেলা শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসার মো. মোসলেম উদ্দিন। তিনি বলেন, যে কোন জাতির সংস্কৃতিই তার প্রাণপ্রবাহ। যে জাতি যত উন্নত তার সংস্কৃতিও ততোধিক উন্নত ও সমৃদ্ধ। স্বাভাবিক কারণেই সংস্কৃতিই জাতিসত্তার দর্পণ। ১৯৭৪ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্য মন্ডিত শিল্প সংস্কৃতির বিকাশ, চর্চা, সংরক্ষণ ও প্রচার প্রসারের স্বপ্ন নিয়ে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেন। যা পরবর্তী সময়ে ৬৪টি জেলায় সমপ্রসারিত হয়। তারই ধারাবাহিকতায় ১৯৮০ সালে চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই চট্টগ্রামের সংস্কৃতিকে তুলে ধরার চেষ্টা করছে শিল্পকলা একাডেমি। স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে দেশীয় সংস্কৃতির চর্চা, বিকাশ ও প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
তিনি বলেন, ধীরে ধীরে চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমি আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতির অনুষঙ্গ সংগীত, নৃত্যকলা, আবৃত্তি, চারুকলা, নাট্যকলা ও তাল যন্ত্রের শুদ্ধ প্রশিক্ষণ প্রদানের অপরিহার্য প্রতিষ্ঠানে রূপ নেয়। সেই সাথে এতদঞ্চলের শিল্প-সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চা ও আন্দোলনের সাথে জড়িত মানুষগুলোর সম্পৃক্ততায় এটি হয়ে ওঠে একটি প্রিয় স্থান। তৈরি করছে শিল্পের নানা শাখায় প্রতিশ্রুতিশীল হাজারো শিল্পী ও কর্মী। একইসাথে চট্টগ্রাম অঞ্চলের নিজস্ব ও ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক অনুষঙ্গগুলোকে চর্চার মাধ্যমে জাতীয়ভাবে তুলে ধরার ক্ষেত্রে পালন করে চলেছে অগ্রণী ভূমিকাও। মোসলেম উদ্দিন বলেন, সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টায় বর্তমানে শিল্পকলা একাডেমির কার্যক্রম ৬৪টি জেলা থেকে ৪৮৬টি উপজেলায় সম্প্রসারিত হয়েছে। পাশাপাশি প্রতি বছর দেশের শিল্পসংস্কৃতির অবদানের জন্য বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পক্ষ থেকে “শিল্পকলা পদক” ও জেলা পযার্য়ে “সম্মাননা পদক” প্রদান করা হয়।