‘দৈনিক আজাদী ও চট্টগ্রাম’–এ যেন একই ফুলের দুটি বৃন্ত। একজনকে ছাড়া আরেক জনকে ভাবাই যায় না। আজাদীর ৬৪ বছর– এ দীর্ঘ পথ চলা আরও সমৃদ্ধ, আরও সফল, মসৃণ ও কল্যাণময় হোক। আলহাজ্ব মোহাম্মদ আবদুল খালেক ইঞ্জিনিয়ার যাঁর সঠিক পরিচালনায়, অক্লান্ত পরিশ্রম ও মেধায় আজাদী আজ এই পর্যায়ে এসেছে তাঁর প্রতি জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা। আর যাঁরা তাঁর দেখানো পথ অনুসরণ করে আজাদীকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিচ্ছেন, চট্টগ্রামকে মানুষের সামনে আরও গভীর ভাবে, আরও বিশাল আকারে তুলে ধরছেন, যাঁরা নীরবে কিন্তু অত্যন্ত সাহসিকতার সাথে চট্টগ্রামের মানুষের কথা, সফলতা, উন্নতি ও উন্নয়ন, সমস্যার কথা দেশ সেবকদের সামনে তুলে ধরছেন তাঁদের সকলের প্রতিও জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সংবাদপত্র আমাদের আজাদী। বাংলাদেশের ইতিহাসের বিশাল জায়গা জুড়ে রয়েছে এই আজাদী। এটি আমাদের তথা চট্টগ্রামের অহংকার ও গৌরব। এটি আজ শুধু চট্টগ্রাম বিভাগেই নয় এর প্রচার, প্রসার ছড়িয়ে পড়েছে দেশ থেকে দেশান্তরে। কাগজের আজাদী হাতে না পেলেও প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় মানুষ তা পেয়ে যাচ্ছে হাতের মুঠোয়। এ তো বিজ্ঞানের এক আশীর্বাদ। এটি যে কোনও কিছুর সফলতা যেমন তুলে ধরে ঠিক তেমনি অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে পিছুপা হয় না। আবার যদি কোনও ভুল ত্রুটি হয়েও থাকে সেক্ষেত্রে ক্ষমা চাইতেও কুণ্ঠাবোধ বা দ্বিধা বোধ করে না। আর এই সৎ সাহস ও সত্যের পথে চলে বলেই আজাদী আজ আপামর জনগণের কাছে সমাদৃত ও জনপ্রিয়। নতুন ও নবীনদের জয়গান ও উৎসাহ দান বরাবরই করে গেছে দৈনিক আজাদী। আর তাই তারই হাত ধরে নতুন নতুন লেখক ও তাদের লেখা পাঠকরা পেয়ে থাকি। আজাদীর এই পথ দীর্ঘ পথ চলায় চট্টগ্রামের মানুষ সবসময় পাশে ছিল, আছে এবং থাকবে ইনশাআল্লাহ। আজাদীর জন্মদিন শুভ হোক, এগিয়ে যাক রবির আলোয়, উদ্ভাসিত হোক নতুন ছন্দে। তাই তো কবি গুরুর ভাষায় বলতে চাই – ‘তুমি যে সুরের আগুন, / ছড়িয়ে দিলে মোর প্রাণে; / সে আগুন ছড়িয়ে পড়ুক সবখানে’।