ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের শ্রীনগরের বিখ্যাত পর্যটন কেন্দ্র ডাল লেকে গতকাল শনিবার ভোরে কয়েকটি হাউজবোটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে তিন বাংলাদেশি পর্যটক নিহত হয়েছে। এই তিনজনই চট্টগ্রামের বাসিন্দা বলে গতকাল রাতে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। এদের মধ্যে দুজন প্রকৌশলী ও একজন ঠিকাদার। তবে গতকাল রাত ২টায় এই রিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত নির্ভরযোগ্য কারো কাছ থেকে এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ভারতীয় কয়েকটি গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, যে তিনজন প্রাণ হারিয়েছেন তাদের নাম অনিন্দ্য কৌশল, ইমন দাশগুপ্ত ও মাইনুদ্দিন চৌধুরী।
চট্টগ্রামের বিভিন্ন সূত্রে বলা হয়, এদের মধ্যে প্রথম দুজন প্রকৌশলী। একজন রাঙামাটি গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এবং অপরজন গণপূর্ত চট্টগ্রাম–২ এর উপ–বিভাগীয় প্রকৌশলী হিসাবে কর্মরত। তাদের বাড়ি মীরসরাই ও রাউজানের বিনাজুরিতে। তৃতীয়জন ঠিকাদার। তার বাড়ি রাউজানের কদলপুরে। তাদের ব্যাপারে শোক জানিয়ে অনেকে গতকাল ফেইসবুকে পোস্ট দেন। এর আগে রয়টার্সের খবরে বলা হয়, শনিবার ভোরে প্রথমে একটি হাউজবোটে আগুন লাগে। দ্রুতই তা কাছে নোঙর করে রাখা আরো চারটি হাউজবোটে ছড়িয়ে পড়ে। পুড়ে যাওয়া পাঁচটি হাউজবোটের মধ্যে একটিতে তিন বাংলাদেশি পর্যটক অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় আরো সাতজন আহত হয়েছেন। প্রাথমিক তদন্তে ত্রুটিপূর্ণ বৈদ্যুতিক তার থেকে আগুনের সূত্রপাত হওয়ার কথা জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
কাশ্মীর বেড়াতে যাওয়া পর্যটকদের কাছে বরাবরই আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে শ্রীনগরের ডাল লেক। বহু পর্যটক ডাল লেকে হাউজবোটে থেকে লেকের সৌন্দর্য উপভোগ করেন।
বিডিনিউজ জানায়, গণপূর্তের রাঙামাটি কার্যালয়ের উপ–সহকারী প্রকৌশলী জয় বড়ুয়া বলেন, স্যার (অনিন্দ্য কৌশল) গত ৩ নভেম্বর ভারতে গেছেন। তিনি আজমীর শরীফ যাওয়ার কথা। সেখান থেকে কাজ শেষে কাশ্মীরে যাচ্ছিলেন বলেও জানিয়েছিলেন। কিন্তু এই ঘটনা…। কিছুই বুঝতে পারছি না। ইমন ও মাইনুদ্দিনকেও চিনতেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোশারফ হোসেন খান বলেন, নির্বাহী প্রকৌশলী ভারতে আছেন, সেটা জানি। তিনি খুবই ভালো মানুষ। এমন ঘটনা শুনে খুব খারাপ লাগছে। আমি খবর নিচ্ছি।