প্রতিদিন সকালে অরুণদ্যূতি আর আজাদী চুপিসারে এসে অন্দরে ঢুকে পড়ে বন্ধকপাটের নীচ দিয়ে অতি সন্তর্পণে। প্রাত্যহিক ইবাদতের পর সকালের সূচনা হয় আজাদীর হেডলাইনে চোখ বুলিয়ে, প্রতিদিনের প্রাতঃরাশের মতোই।
গত ২৫ আগস্ট- শরীরটা খুব খারাপ ছিলো। দরজার কাছে গিয়ে উপুড় হয়ে আজাদীটা নিতে খুব কষ্ট লাগছিলো। একরাশ বিরক্তি নিয়ে পত্রিকাটা উঠিয়ে ডাইনিং টেবিলে রেখে দিয়েছি। সারা সকাল পেরিয়ে গেলেও হাতে তুলে নেইনি। মধ্য দুপুরে মোবাইলটা হাতে নিতেই দেখি রাশেদ রউফ ভাইয়ার ম্যাসেজ- আমার লিখা ’ধ্রুপদী বিকেল’ ছাপানো হয়েছে। মজার ব্যাপার হলো- একইসাথে প্রথম পাতায় আমার হাসবেন্ড এর বদলীর খবর ও প্রকাশিত হয়েছে। একইসঙ্গে দুটো খবর- মূহুর্তেই শরীর মন দুটোই ভালো হয়ে গেলো। এবং আজাদীর প্রতি হৃদ্যতাটাও আরো প্রশারিত হয়ে গেলো। ভালোবাসি তোমায় প্রিয় আজাদী। চট্টগ্রাম শহরের ইতিউতি ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা খবর গুলো প্রতিদিন চমৎকার ভাবে প্রতিবিম্বিত হয় আজাদী’তে। আজাদী’র পুরো অবয়ব জুড়ে থাকে চট্টগ্রামের ভালো-মন্দ, দুঃখ-সুখ, অভাব-দৈন্যদশা, অপরাধ- অপকর্ম, অভিযোগ-অনুযোগ, উন্নয়ন-অবনতি, সমস্যা- সমাধান, এবং গণমানুষের অধিকার আদায়ের নিত্য নতুন সাতকাহন। এ যেনো খবরের কাগজ নয়, যেনো একটি স্বচ্ছ দর্পণ, যাতে প্রতিদিন সকালে ৫,২৮২.৯২ বর্গ কিলোমিটার চট্টগ্রামের প্রতিচ্ছবি ফুটে ওঠে। শুভজন্মদিন প্রিয় আজাদী। শুধু ৬২ বছর নয়, হাজার বছর পেরিয়ে গেলেও চট্টগ্রামবাসীর মনের মুকুরে সমাদৃত থেকো, সবসময়। যুগযুগ আপন স্বকীয়তায় সগৌরবে সদর্পে এগিয়ে চলো। নিরন্তর ভালোবাসা তোমার জন্য।