চট্টগ্রামের ক্রিকেটে প্রযুক্তির ব্যবহার এ যেন নতুন দিগন্তের সূচনা

ক্রীড়া প্রতিবেদক | শনিবার , ১২ মার্চ, ২০২২ at ১০:৫৬ পূর্বাহ্ণ

বিশ্ব ক্রিকেটে এখন প্রযুক্তির ব্যবহার সবচাইতে বেশি। বিশেষ করে এলবিডব্লিউ কিংবা রান আউট বা স্টাম্পিংয়ের মত সিদ্ধান্ত দিতে এখন প্রযুক্তির ব্যবহার হচ্ছে বেশি। শুধু তাই নয় বেশিরভাগ সিদ্ধান্তই এখন দেওয়া হচ্ছে প্রযুক্তির মাধ্যমে। চট্টগ্রাম প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের সুপার ফোর পর্বের ম্যাচ গুলোকে যতটা সম্ভব বিতর্কমুক্ত রাখতে ব্যবহার করা হচ্ছে প্রযুক্তির। যা চট্টগ্রামে প্রথমবারের মত ব্যবহার করা হচ্ছে। গতকাল থেকে জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত লিগের সুপার ফোর পর্বের আবাহনী লিঃ এবং পাইরেটস অব চিটাগাং এর মধ্যকার গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে প্রযুক্তির ব্যবহার সংযুক্ত করা হয়। প্রথম দিনে প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে একটি সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়। আবাহনীর ইনিংসের সময় টিভি রিপ্লে দেখে একটি রান আউটের সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়। তবে সেই সিদ্ধান্তটি নট আউট ছিল। প্রথমবারের মত চট্টগ্রামের ক্রিকেটে চারজন আম্পায়ার ব্যবহার করা হয়েছে গতকাল। আর চট্টগ্রামের ক্রিকেটে প্রথমবারের মত টিভি আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করেছেন সুফি হাসান। আর এই প্রযুক্তি ব্যবহারে কারিগরি সহযোগিতা দিচ্ছে এন স্পোর্টস। প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার তাজুল ইসলাম জানান তাদের কাছে যে সীমিত সামর্থ রয়েছে তা দিয়ে সর্বোচ্চ সহায়তা দেওয়ার চেষ্টা করছে। যাতে খুব বেশি বিতর্কের সৃষ্টি না হয়। তারা এবারের লিগের খেলা গুলো সরাসরি সম্প্রচার করছে। এই প্রযুক্তি ব্যবহারের বিষয়ে সিজেকেএস সহ সভাপতি হাফিজুর রহমান জানান যেহেতু লিগের সুপার ফোর পর্বের ম্যাচ গুলো শিরোপা নির্ধারনী ম্যাচ সেহেতু যাতে কোন ধরনের বিতর্ক সৃষ্টি না হয় সে জন্য সীমিত আকারে প্রযুক্তির সহায়তা নেওয়া হচ্ছে। এই প্রক্রিয়ায় কেবল রান আউট এবং স্টাম্পিংয়ের সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে। যদিও লিগের গ্রুপ পর্বের এই লম্বা জার্নিতে খুব বেশি চোখে পড়ার মত ভুল করেনি চট্টগ্রামের আম্পায়াররা। তারপরও যতটা সম্ভব বিতর্ক এড়াতে এই প্রযুক্তির সহায়তা নেওয়া হচ্ছে। যাতে লিগের শেষটা সুন্দরভাবে হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপশ্চিম গুজরা রাত্রিকালীন শর্টপিচ ক্রিকেটে কমলারদিঘি দল চ্যাম্পিয়ন
পরবর্তী নিবন্ধভালো করার আশায় দক্ষিণ আফ্রিকা যাত্রা টাইগারদের