চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, আমাদের সিটি কর্পোরেশন চলে রাজস্বের উপর নির্ভর করে। আদায়কৃত রাজস্ব দিয়েই সড়ক নির্মাণ ও সংস্কার, নগরবাসীর শিক্ষা–স্বাস্থ্যের অধিকার নিশ্চিত করতে হয়। তাই চট্টগ্রামের উন্নয়নের স্বার্থে রাজস্ব আয় বাড়াতে হবে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে লালদিঘীস্থ চসিক পাবলিক লাইব্রেরির সম্মেলন কক্ষে রাজস্ব বিভাগের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। মেয়র বলেন, রাজস্ব আদায় বাড়াতে এবং নাগরিকদের রাজস্ব প্রদান প্রক্রিয়াকে সহজ করতে নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডজুড়ে রাজস্বমেলার আয়োজন করা হবে যেখানে নাগরিকরা সরাসরি গৃহকর দিতে পারবনে এবং এ সংক্রান্ত পরামর্শ সেবা পাবেন। মেয়র আরো বলেন, চট্টগ্রাম নগরীতে যারা ব্যবসা করবে তাদের অবশ্যই ট্রেড লাইসেন্স নিতে হবে। কোনো অজুহাতে ছাড় দেওয়া হবে না। যেখানে চট্টগ্রাম নগরীতে ৪ থেকে ৫ লক্ষ ট্রেড লাইসেন্স থাকার কথা, সেখানে বর্তমানে আছে মাত্র ১ লক্ষ ৩৪ হাজারের মতো। কারণ ম্যাক্সিমাম দোকানেই আপনি দেখবেন যে ট্রেড লাইসেন্স নেই। অনেক দোকানে আবার লাইসেন্স থাকলেও নবায়ন করা হয় না। ট্রেড লাইসেন্স বাড়ানোর জন্য আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদের অভিযান পরিচালনা করতে হবে। বিশেষ করে বড় মার্কেটগুলোতে আগে অভিযান চালাতে হবে। মেয়র ডা. শাহাদাত বলেন, শহরকে পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর রাখতে হলে সবাইকে নিয়ম–কানুন মানতে হবে। ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলোকে দ্রুত লাইসেন্সের আওতায় আনতে হবে। ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানগুলো ট্রেড লাইসেন্স করা আবশ্যক। এছাড়া কোচিং সেন্টারসহ বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বিজ্ঞাপনের জন্য রাজস্ব ফাঁকি দিলে তাদের কাছ থেকেও রাজস্ব আদায় করতে হবে। একটি ব্যানার বা সাইনবোর্ডের জন্য মাত্র এক–দুই হাজার টাকার কর প্রদানই যথেষ্ট। অথচ অনেক প্রতিষ্ঠান তা পরিশোধ করে না। অথচ এই অর্থ দিয়েই সিটি কর্পোরেশন শহরকে পরিচ্ছন্ন ও সবুজ রাখতে কাজ করে। শহরকে পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর রাখতে হলে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। নাগরিকদের অংশগ্রহণ ছাড়া কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন আনা সম্ভব নয়। মেয়র বলেন, চট্টগ্রামকে ক্লিন, গ্রিন ও হেলদি সিটিতে রূপান্তর করতে নিয়মিত কর পরিশোধ করুন। জনগণকে করের অতিরিক্ত বোঝা চাপিয়ে দিতে চাই না, বরং করদাতাদের জন্য স্বস্তিদায়ক ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে চাই। জনগণের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি তারা যাতে সময়মত ট্যাক্সগুলো দিয়ে দেয়। কারণ হোল্ডিং ট্যাক্স যদি আমরা ঠিকমত পাই তাহলে আমরা শহরকে সুন্দর করতে পারবো। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিকের সচিব মো. আশরাফুল আমিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা সরোয়ার কামাল, চসিকের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাবৃন্দ ও রাজস্ব বিভাগের সকল কর্মকর্তা–কর্মচারী বৃন্দ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।












