দীর্ঘ ২৯ বছর পর চট্টগ্রাম– ১৫ (সাতকানিয়া–লোহাগাড়া) আসনে নিজ দলের কর্মীকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী করছে বিএনপি। দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য নাজমুল মোস্তফা আমিনকে আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসনটিতে দলের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়। গতকাল দ্বিতীয় ধাপে সারা দেশের ৩৬ আসনে দলের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এতে চট্টগ্রাম–১৫ আসন ছাড়াও তিনটি আসন রয়েছে। আসনগুলোতে বিগত সময়ে সংসদ নির্বাচন করার অভিজ্ঞতা রযেছে এমন তিন নেতাকে প্রার্থী করা হয়। এর হচ্ছেন– চট্টগ্রাম–৩ (সন্দ্বীপ) আসনে সাবেক সংসদ সদস্য মোস্তফা কামাল পাশা, চট্টগ্রাম–৬ (রাউজান) আসনে কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান (পদ স্থগিত) গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী, চট্টগ্রাম–৯ (কোতোয়ালী) আসনে নগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান। এর আগে ৩ নভেম্বর ১০ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে বিএনপি। ফলে এখন পর্যন্ত চট্টগ্রামের ১৪ আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে দলটি। গতকাল পর্যন্ত ঘোষণা করা হয়নি চট্টগ্রাম–১৪ (চন্দনাইশ ও সাতকানিয়া আংশিক) ও চট্টগ্রাম–১১ (বন্দর, পতেঙ্গা, ডবলমুরিং, ইপিজেড ও সদরঘাট) আসনের প্রার্থীও নাম। এর মধ্যে চট্টগ্রাম–১৪ শরিকদল লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টিকে (এলডিপি) ছেড়ে দিবে বিএনপি।
চট্টগ্রাম–৩ (সন্দ্বীপ) : চট্টগ্রাম–৩ (সন্দ্বীপ) আসনে এবার দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য মোস্তফা কামাল পাশা, উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান ভূঁইয়া মিল্টন, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম–আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আবু তাহের, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তরিকুল আলম তেনজিন, বিএনপি নেতা মোস্তাফা কামাল পাশা বাবুল এবং ছাত্রদলের সাবেক সহ–সাধারণ সম্পাদক রফি উদ্দিন ফয়সাল। এর মধ্যে চূড়ান্ত মনোনয়ন পান সাবেক সংসদ সদস্য মোস্তফা কামাল পাশা। এর আগে ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও মোস্তফা কামাল পাশা বিএনপির প্রার্থী ছিলেন। ষষ্ঠ নির্বাচনে (১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি), অষ্টম (২০০১) ও নবম (২০০৮) জাতীয় সংসদ নির্বাচনে (২০১৪) বিজয়ী হন হন তিনি। এছাড়া ১৯৭৩ সাল থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত টানা চারবার সন্দ্বীপ উপজেলার রহ–মতপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন মোস্তফা কামালা পাশা। ১৯৯০ সালে উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে দলের মনোনয়ন পাওয়ার পর তিনি বলেন, দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব আমার প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস প্রকাশ করে মনোনয়ন প্রদান করায় আমি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা ও নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও দলের প্রতি অবিচল নিষ্ঠা ও জনগণের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখার যে চেষ্টা করেছি, এই মনোনয়ন সেই প্রচেষ্টার মূল্যায়ন। আমি দলের সর্বস্তরের নেতা–কর্মী, সমর্থক এবং প্রিয় সন্দ্বীপবাসীর কাছে দোয়া, সহযোগিতা ও ভালোবাসা কামনা করছি। সন্দ্বীপের উন্নয়ন, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে আমি সর্বদা অটল থাকব, এটাই আমার প্রতিশ্রুতি।
চট্টগ্রাম–৬ (রাউজান) : এবার চট্টগ্রাম–৬ (রাউজান) আসন থেকে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার ও উত্তর জেলা বিএনপি নেতা জসীম উদ্দিন সিকদার। এর মধ্যে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন জসীম উদ্দিন সিকদার।
জানা গেছে, ১৯৯৬ সালে সপ্তম, ২০০১ সালে অষ্টম ও ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন রাউজানে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী। ৯৬ সালে তিনি নির্বাচিত হন। গিয়াস কাদের কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও সদস্য ছিলেন। বিভিন্ন সময়ে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ও সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। কেন্দ্রীয় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও শিল্প বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক পদেও দায়িত্ব পালন করেন। তার বর্তমান পদ বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান। যা গত জুলাই স্থগিত করে কেন্দ্র। গতকাল দলের মনোনয়ন পাওয়ার পর গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী আজাদীকে বলেন, রাউজানে গণমানুষের ভালোবাসার স্বীকৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে রাউজানে কোণঠাসায় ছিলেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। শীর্ষ নেতারা ছিলেন এলাকা ছাড়া। সর্বশেষ ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট এর পর থেকে রাউজানে সক্রিয় হয় বিএনপি নেতাকর্মীরা। তবে দুই ধারায় বিভক্ত হয়ে পড়েন তারা। এদের এক গ্রুপ গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী এবং অপর গ্রুপ গোলাম আকবর খোন্দকারের অনুসারী। বিভিন্ন সময়ে সংঘর্ষেও জড়ান তারা। ৫ আগস্টের পর থেকে রাউজানে ১৭টি খুনের ঘটনা ঘটে। স্থানীয়দের দাবি, দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বের কারণেই সংঘটিত হয়েছে এসব হত্যাকাণ্ড।
উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক ইউসুপ তালুকদার আজাদীকে বলেন, রাউজানবাসীর চাওয়া পূরণ হয়েছে। যোগ্য প্রার্থী হিসেবে ত্যাগী নেতা গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীকে মনোনয়ন দেন। তার নেতৃত্ব রাউজানে ঐক্যবদ্ধ থাকবে বিএনপি। সেখানে কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকে প্রশ্রয় দেবেন না তিনি।
চট্টগ্রাম–৯ (কোতোয়ালী–বাকলিয়া) : চট্টগ্রাম–৯ (কোতোয়ালী–বাকলিয়া) আসনে দলের মনোনয়ন পাওয়া আবু সুফিয়ান মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন চট্টগ্রাম–৮ ( বোয়ালখালী, চান্দগাঁও পাঁচলাইশ আংশিক) এর। গত অক্টোবর মাসে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সঙ্গে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমানের অনুষ্ঠিত র্ভাচুয়াল বৈঠকে তিনি চট্টগ্রাম–৮ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে অংশ নেন। এর আগে একাদশ সংসদ নির্র্বাচনে চট্টগ্রাম–৮ আসনে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন তিনি। তবে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে দলের হাইকমান্ডের নির্দেশে চলতি বছরের আগস্ট থেকে তিনি চট্টগ্রাম–৯ আসনে গণসংযোগ ও ৩১ দফার লিফলেট বিতরণসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছেন।
এদিকে গত ৩ নভেম্বর দেশের ২৩৭ আসনে দলের প্রাথমিক মনোননয়ন পাওয়া প্রার্থীদের নাম ঘোষণার সময় চট্টগ্রাম–৯ আসনে আবু সুফিয়ানের নাম ঘোষণা করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। পরে তিনি এ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম স্থগিত রাখা হয়েছে জানিয়ে বলেন, এটা পরে ঘোষণা করা হবে। সর্বশেষ আবু সুফিয়ানের নাম ঘোষণা করা হয়।
আবু সুফিয়ান আজাদীকে বলেন, মহান আল্লাহপাকের দরবারে শোকরিয়া জ্ঞাপন করছি। আমার প্রতি আস্থা রাখার জন্য দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে আসনটি দলের চেয়ারপার্সন ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সনকে উপহার দিতে চাই। আসনের সম্মানীত ভোটারদের প্রতি আহবান থাকবে, অতীতে তারা যেভাবে ধানের শীষকে সমর্থন করেছেন এবারও তারা ধানের শীষের পাাশে থাকবেন এবং ভালোবাসা দিয়ে বিজয়ী করবেন।
এদিকে চট্টগ্রাম–৯ আসন থেকে এবার দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন নগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, নগর বিএনপির যুগ্ম–আহ্বায়ক এসএম সাইফুল আলম এবং নগর বিএনপির যুগ্ম–আহ্বায়ক আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল। এছাড়া গত অক্টোবর মাসে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সঙ্গে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমানের অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল বৈঠকে ডাক পান সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনও। যিনি একাদশ সংসদ নির্বাচনে এ আসনে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন। ডা. শাহাদাত গত মাসে লন্ডন সফরে গিয়ে সাক্ষাৎ করেন তারেক রহমানের সঙ্গে। এসময় ভবিষ্যতেও তাকে মেয়র প্রার্থী করার আশ্বাস দেন তারেক রহমান।
চট্টগ্রাম–১৫ (সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া) : ১৯৯৬ সালে অনুষ্ঠিত সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাতকানিয়া–লোহাগড়ায় আসনে বিএনপি নিজ দলের প্রার্থী দেয়। সে প্রার্থী ছিলেন কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম। এরপর ২০০১ সালে অনুষ্ঠিত অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও এ আসনে বিএনপির প্রার্থী হন তিনি। কিন্ত শেষ মুর্হূতে বিএনপি সমর্থন করে শরীক দল জামায়াতে ইসলামীর শাহাজাহান চৌধুরীকে। পরবর্তীতে নবম ও একাদশ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও এ আসনে ২০ দলীয় জোট থেকে জামায়াতের প্রার্থী দেয়া হয়। সর্বশেষ ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য এ আসনে বিএনপি নিজ দলের নাজমুল মোস্তফা আমিনকে প্রাথমিক মনোনয়ন দেয়। ওই হিসেবে দীর্ঘ ২৯ বছর পর সাতকানিয়া–লোহাগাড়ায় নিজ দলের কর্মীকে মূল্যায়ন করেছে বিএনপি।
অবশ্য চট্টগ্রাম–১৫ আসনে এবার দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শেখ মো. মহিউদ্দিন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাতকানিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক জামাল হোসেন, লোহাগাড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক নাজমুল মোস্তফা আমিন এবং দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাতকানিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান। এর মধ্যে নাজমুল মোস্তফা আমিনকে গতকাল দলের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়।
জানা গেছে, ছাত্রজীবনে ছাত্রদলের একজন সক্রিয় কর্মী হিসেবে ছাত্র রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন নাজমুল মোস্তফা আমিন। পরবর্তীতে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা শ্রমিকদলের আহ্বায়ক ও শ্রমিক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। লোহাগাড়া উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি ও আহবায়ক এবং দক্ষিণ জেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র আহবায়ক কমিটির সদস্য নাজমুল মোস্তফা আমিন আজাদীকে বলেন, দীর্ঘদিন আন্দোলন–সংগ্রামে ছিলাম, দল তার মূল্যায়ন করেছে। এ জন্য ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সনের কাছে কৃতজ্ঞ। তিনি বলেন, বিএনপি’র তৃণমূলের কর্মীরা সবসময় এ আসনে দলের প্রার্থী চেয়েছে। কিন্তু মনোনয়ন পেত জোটের প্রার্থী। এবার দল তৃণমূলের চাওয়া পূরণ করেছে। সবাই মিলে এ আসনটি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সনকে উপহার দিতে চাই।
দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ফৌজুল কবির ফজলু আজাদীকে বলেন, সাতকানিয়া–লোহগাড়গারায় বিএনপি’র অগণিত কর্মী সমর্থক রয়েছে। প্রতিবার নির্বাচন এলে সবাই নিজ দলের প্রার্থীও প্রত্যাশা করে। কিন্তু দল কৌশলগত কারণে জোটের প্রার্থী হিসেবে অন্য দলকে ছেড়ে দিত। কিন্তু দীর্ঘ বছর পর দলের প্রার্থী দেওয়ায় সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা উচ্ছ্বসিত। সবাই মিলে ধানের শীষকে বিজয়ী করব ইনশাল্লাহ।
১০ আসনের প্রার্থী যারা : এর আগে গত ৩ নভেম্বর ঘোষিত ১০ আসনের প্রার্থীরা হচ্ছেন– চট্টগ্রাম–১ (মীরসরাই) আসনে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আমিন, চট্টগ্রাম– ২ (ফটিকছড়ি) আসনে উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সরওয়ার আলমগীর, চট্টগ্রাম–৪ (সীতাকুণ্ড) আসনে উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী সালাউদ্দিন, চট্টগ্রাম–৫ (হাটহাজারী) আসনে চট্টগ্রাম বিভাগের বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, চট্টগ্রাম–৭ (রাঙ্গুনিয়া) আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হুম্মাম কাদের চৌধুরী, চট্টগ্রাম–৮ (বোয়ালখালী ও চান্দগাঁও) আসনে চট্টগ্রাম নগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ, চট্টগ্রাম–১০ (পাহাড়তলী–হালিশহর) আসনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম–১২ (পটিয়া) আসনে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ এনামুল হক, চট্টগ্রাম–১৩ (আনোয়ারা) আসনে সাবেক সংসদ সদস্য সরওয়ার জামাল নিজাম ও চট্টগ্রাম–১৬ (বাঁশখালী) আসনে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী।










