চট্টগ্রামের অর্ধশতাধিক গ্রামের কিছু সংখ্যক মানুষ পবিত্র রোজা পালন শুরু করছে আগামীকাল মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল)।
আজ সোমবার (১২ এপ্রিল) রাত থেকে তারা তারাবির নামাজ আদায়ের পাশাপাশি কাল ভোরে সেহরি খাওয়া শুরু করবে। সাতকানিয়ার সোনাকানিয়া মির্জারখীল দরবার শরীফের মুরিদগণ সৌদিআরবের সাথে মিল রেখে অন্যান্য বছরের মতো এবারও একদিন আগে থেকে রোজা পালন শুরু করছে।
মির্জারখীল দরবার শরীফ সূত্র মতে, সাতকানিয়ার মির্জারখীল, এওচিয়ার গাটিয়া ডেঙ্গা, মাদার্শা, খাগরিয়ার মৈশামুড়া, পুরানগড়, চরতির সুইপুরা, চন্দনাইশের কাঞ্চননগর, হারালা, বাইনজুরি, কানাই মাদারি, সাতবাড়িয়া, বরকল, দোহাজারী, জামিরজুরি, বাঁশখালীর কালিপুর, চাম্বল, শেখেরখীল, ছনুয়া, আনোয়ারার বরুমছড়া, তৈলারদ্বীপ, লোহাগাড়ার পুটিবিলা, কলাউজান, বড়হাতিয়া এবং পটিয়া, বোয়ালখালী, হাটহাজারী, সন্দ্বীপ, রাউজান ও ফটিকছড়ির কয়েকটি গ্রামসহ চট্টগ্রামের অর্ধশতাধিক গ্রামের কিছু সংখ্যক মানুষ আজ রোজা পালন শুরু করেছে। এছাড়া পার্বত্য জেলা বান্দরবানের লামা, আলীকদম, নাইক্ষ্যাংছড়ি, কক্সবাজারের চকরিয়া, টেকনাফ, মহেশখালী ও কুতুবদিয়ার কয়েকটি গ্রামে থাকা মির্জারখীল দরবার শরীফের মুরিদরাও কাল রোজা পালন শুরু করবে।
মির্জারখীল দরবার শরীফের মুরিদ ও মির্জারখীল আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক বজলুল করিম চৌধুরী বলেন, “আমাদের পুরো গ্রামের মানুষ আগামীকাল রোজা পালন শুরু করবে। চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলার অন্তত অর্ধশতাধিক গ্রামে থাকা দরবার শরীফের মুরিদরাও রোজা শুরু করবে। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে থাকা মির্জারখীল দরবার শরীফের মুরিদরা রোজা পালন শুরু করবে একই সাথে। আমরা সবাই আজ তারাবির নামাজ আদায়ের পাশাপাশি ও কাল সেহরি খাওয়া শুরু করব। মির্জারখীল দরবার শরীফের অনুসারীরা দুইশ’ বছরের অধিক সময় ধরে সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে রোজা পালন ও ঈদ উদযাপন করে আসছে।”