চট্টগ্রামের অগ্রাধিকার তালিকায় যারা

করোনার ভ্যাকসিন ।। চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী ২২ হাজার ।। চসিকের অধীন কর্মকর্তা-কর্মচারী ৯ হাজার ।। স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীন কর্মকর্তা-কর্মচারী ৯ হাজার ।। গণমাধ্যম কর্মী দেড় হাজার ।। শিক্ষা বিভাগ ৬৬ হাজার ।। সামরিক, আধা সামরিক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য (অবশিষ্ট)

আজাদী প্রতিবেদন | শনিবার , ৫ ডিসেম্বর, ২০২০ at ৫:৩২ পূর্বাহ্ণ

অনুমোদনের পরপরই যাতে করোনার ভ্যাকসিন পাওয়া যায়, এ নিয়ে সব ধরনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশ সরকার। প্রথম দফায় ৩ কোটি ভ্যাকসিন পেতে ইতোমধ্যে ভারতের সাথে চুক্তিও করা হয়েছে। তবে ১৬ কোটির বেশি জনসংখ্যার দেশে প্রথম দফাতেই সব নাগরিককে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা সম্ভব নয়। যার কারণে অগ্রাধিকার ভিত্তিক তালিকা করছে সরকার। স্বাস্থ্য বিভাগের মাধ্যমে এ তালিকা প্রণয়নের কাজ এরইমধ্যে প্রায় সম্পন্ন। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার প্রেক্ষিতে চট্টগ্রামেও অগ্রাধিকার ভিত্তিক তালিকা তৈরির কাজ শেষ করেছে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়। করোনা মোকাবেলায় সম্মুখযোদ্ধাদের সামনে রেখে ৫টি সেক্টরের (বিভাগের) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রাখা হয়েছে এ তালিকায়। মন্ত্রণালয়ের চাহিদার প্রেক্ষিতে এ তালিকা প্রণয়ন করে ইতোমধ্যে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি। ৫ সেক্টরের মোট ২ লাখ ৭১ হাজার ৭৮৮ জনের তালিকা পাঠানো হয়েছে বলেও জানান সিভিল সার্জন। প্রতিজনকে দুটি করে ডোজ দেয়া হবে জানিয়ে সিভিল সার্জন বলেন, সে হিসেবে প্রায় সাড়ে ৫ লাখ ভ্যাকসিনের চাহিদা আমরা উল্লেখ করেছি। যদিও তালিকাভুক্তদের পরিবার প্রাথমিক পর্যায়ে এ সুবিধার আওতায় থাকছে না বলেও জানান সিভিল সার্জন। স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন- ভ্যাকসিন আসলে এই ৫ খাতের তালিকাভুক্তরা অগ্রাধিকার পাবেন। তবে পর্যায়ক্রমে সকলকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা হবে। ফেব্রুয়ারিতে এ ভ্যাকসিন পাওয়ার আশা প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা।
অগ্রাধিকার তালিকায় কারা ও কত সংখ্যক : স্বাস্থ্য বিভাগ : ভ্যাকসিনের অগ্রাধিকার তালিকায় প্রথমেই রয়েছেন সম্মুখসারির যোদ্ধা চিকিৎসক, নার্সসহ স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য মতে- চিকিৎসক-নার্সসহ সরকারি পর্যায়ে স্বাস্থ্য বিভাগের ৩ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী এ তালিকায় রয়েছেন। বেসরকারি পর্যায়ে রয়েছেন আরো ১৯ হাজার। সব মিলিয়ে চট্টগ্রাম স্বাস্থ্য বিভাগের ২২ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন এ তালিকায়।
স্থানীয় সরকার বিভাগ : জেলা পরিষদ, জেলাপ্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, ইউনিয়ন পরিষদসহ স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীন বিভিন্ন দফতরের ৯ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন তালিকায়।

চসিক : চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) অধীন স্বাস্থ্য-শিক্ষাসহ সব বিভাগের ৯ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী এ তালিকায় রয়েছেন।
গণমাধ্যম : প্রিন্ট মিডিয়া, ইলেকট্রনিক মিডিয়া ও অনলাইন পোর্টালসহ গণমাধ্যমে কর্মরত চট্টগ্রামের দেড় হাজার গণমাধ্যম কর্মী এ তালিকায় রয়েছেন বলে সিভিল সার্জন কার্যালয় নিশ্চিত করেছে।
শিক্ষা বিভাগ : চট্টগ্রাম জেলায় শিক্ষা বিভাগের অধীনে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে ৬৬ হাজার শিক্ষক ও অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী এ তালিকায় রয়েছেন।
সামরিক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী : তালিকায় থাকা সামরিক, আধা সামরিক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যের নির্দিষ্ট সংখ্যা জানায়নি সিভিল সার্জন কার্যালয়। তবে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়- মোট ২ লাখ ৭১ হাজার ৭৮৮ জনের তালিকা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে স্বাস্থ্য, গণমাধ্যম, স্থানীয় সরকার বিভাগ ও শিক্ষা বিভাগের আওতায় রয়েছেন ১ লাখ ৭ হাজার ৫০০ জন। অবশিষ্টরা সামরিক, আধা সামরিক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনীর সদস্য বলে জানা গেছে। এর মধ্যে পুলিশ, বিজিবি, আনসার, ভিডিপি ছাড়াও সশস্ত্র অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরাও রয়েছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে আক্রান্ত ছাড়াল ২৬ হাজার
পরবর্তী নিবন্ধকরোনার দুর্যোগ কাটিয়ে গতি আসছে ব্যবসা-বাণিজ্যে