চট্টগ্রামেও হবে মেট্রোরেল

গন্তব্য বিমানবন্দর থেকে রেলস্টেশন একনেক বৈঠকে নির্দেশনা প্রধানমন্ত্রীর

আজাদী ডেস্ক | বুধবার , ৫ জানুয়ারি, ২০২২ at ৭:০৫ পূর্বাহ্ণ

ঢাকার পর এবার চট্টগ্রামে মেট্রোরেল নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শাহ আমানত বিমানবন্দর থেকে চট্টগ্রাম রেলস্টেশন পর্যন্ত মেট্রোরেলের রুটের কথাও বলেছেন তিনি। গতকাল মঙ্গলবার পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার বিষয়ে জানান। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ঢাকার প্রকল্প শেষ হওয়ার পর বন্দর নগরীতে মেট্রোরেলের কাজ শুরুর কথা বলেছেন। ঢাকা ও চট্টগ্রামের পাশাপাশি দেশের সব বড় নগরীতে মেট্রোরেল নির্মাণের বিষয়েও ভাবতে বলেছেন সরকারপ্রধান। গতকাল জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেকে) বৈঠক পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের অনুরোধে প্রধানমন্ত্রী এই নির্দেশনা প্রদান করেছেন বলে জানা গেছে। সূত্রে জানা যায়, ঢাকায় মেট্রোরেল প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু হওয়ার পর থেকে চট্টগ্রামে মেট্রোরেল চালুর বিষয়টি আলোচনায় উঠে আসে। তথ্যমন্ত্রী চট্টগ্রামে মেট্রোরেল চালুর উদ্যোগ নেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট বারবার অনুরোধ জানান। তিনি সড়ক যোগাযোগ ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের মাধ্যমেও প্রধানমন্ত্রী বরাবর অনুরোধ করেন। অবশেষে প্রধানমন্ত্রী গতকাল চট্টগ্রামে মেট্রোরেল নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। খবর বিডিনিউজের।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের আওতায় এয়ারপোর্ট রোডসহ বিভিন্ন সড়ক উন্নয়ন ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্প নিয়ে আলোচনার সময় প্রধানমন্ত্রী মেট্রোরেল নির্মাণের বিষয়ে নির্দেশনা দেন। রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেকের এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনি বৈঠকে অংশ নেন। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, মেট্রোরেল শুধু ঢাকায় কেন? চট্টগ্রামেও মেট্রোরেল হওয়া উচিত। এছাড়া দেশের অন্যান্য বড় শহর যেখানে বড় পুরনো বিমানবন্দর আছে, সেসব শহরেও মেট্রোরেল জাতীয় আইডিয়া আমাদের করা উচিত।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পর আগামীতে প্রকল্প হাতে নেওয়ার আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে চট্টগ্রামের জন্য মেট্রোরেল আলোচনায় আসছে। আমরাও এখানে পরিকল্পনা কমিশনকে উৎসাহ দেব এবং তাড়াতাড়ি (প্রকল্প) আসার জন্য চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকেও উৎসাহ দেব।
বৈঠকে উপস্থিত ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, ঢাকার মেট্রোরেল (এমআরটি-৬) শেষ হওয়ার পরপরই চট্টগ্রামে মেট্রোরেল নির্মাণে কাজ শুরুর আগ্রহ দেখিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, প্রকল্প যথাসময়ে শেষ করতে না পারলে পরামর্শকদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার বিষয়টিও বৈঠকে গুরুত্ব পায়। তিনি বলেন, অনেক প্রকল্পের সমীক্ষা হওয়ার পরও প্রকল্প ঠিক সময়মতো শেষ করা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে বৈঠকে কথা উঠেছিল। কেউ কেউ মন্তব্য করেছেন প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই হওয়ার পরও দেখা যায় দুইবার তিনবার সংশোধন করতে হয়, দাম বাড়াতে হয়। ঠিকাদার বকা খায়, পিডব্লিউডি (গণপূর্ত অধিদপ্তর) বা সড়ক বকা খায়, কিন্তু পরামর্শকরা আড়ালে থাকেন।
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, পরামর্শকদের জবাবদিহিতার মধ্যে আনতে দেখি কী করা যায়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের জন্য ৫০ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন
পরবর্তী নিবন্ধ৭৮৬