চট্টগ্রামেও মোবাইল ফোনের দোকান বন্ধ রেখে প্রতিবাদ

এনইআইআর নীতির সংস্কারের দাবি

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ১ ডিসেম্বর, ২০২৫ at ৪:১১ পূর্বাহ্ণ

ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) সংস্কার, একচেটিয়া সিন্ডিকেট প্রথা বিলোপ এবং মোবাইল ফোনের উন্মুক্ত আমদানির সুযোগ সৃষ্টির দাবিতে সারাদেশের ন্যায় চট্টগ্রামেও মোবাইল ফোনের দোকান বন্ধ রেখেছে ব্যবসায়ীরা।

গতকাল সকাল থেকে রেয়াজুদ্দিন বাজার, তামাকুন্ডি লেইন, জুবলি রোডসহ নগরীর প্রায় সব মোবাইল মার্কেটে তালা ঝুলতে দেখা গেছে। এসব মার্কেটে সাধারণ দিনের মতো ব্যবসাবাণিজ্যের চাঞ্চল্য দেখা যায়নি। ব্যবসায়ীরা জানান, ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) চালুর সিদ্ধান্তই সারাদেশে এ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। ঢাকায় মোবাইল বিজনেস কমিউনিটি বাংলাদেশ (এমবিসিবি) মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করলেও চট্টগ্রামে আনুষ্ঠানিক কোনো কর্মসূচি হয়নি।

তবে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে দোকান বন্ধ রেখে এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন। সংশ্লিষ্টসূত্র জানিয়েছে, রিয়াজুদ্দিন বাজার ও তামাকুন্ডি লেইনে সকাল থেকে একটি দোকানও খোলা দেখা যায়নি। কিছু মার্কেটে ক্রেতা উপস্থিত থাকলেও তালাবদ্ধ দোকান দেখে ক্রেতারা ফিরে গেছেন। রিয়াজুদ্দিন বাজারের একটি দোকানের কর্মচারী আশিক বলেন, এনইআইআর চালু হলে চট্টগ্রামে কমপক্ষে ১০ হাজার তরুণ চাকরি হারাবে। আমাদের পরিবার পুরোপুরি এই আয়ের উপর নির্ভরশীল। এই নীতি চালু হলে আমরা পথে বসে যাব। তামাকুন্ডি লেইন মোবাইল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেন, দেশে নয়টি বড় সিন্ডিকেট মোবাইল বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে। তারা পার্টস কেজি হিসেবে এনে অফিসিয়াল ফোন দেখিয়ে বিক্রি করছে। এনইআইআর নীতি মূলত সেই সিন্ডিকেটের স্বার্থ রক্ষা করছে। আমরা সরকারের কাছে সমাধানের জন্য চিঠি দিয়েছি। দাবি না মানলে পরিবার নিয়ে রাস্তায় নামতে বাধ্য হবো। এর আগে গত শনিবার স্মার্টফোন ও গ্যাজেট ব্যবসায়ীদের সংগঠন মোবাইল বিজনেস কমিউনিটি বাংলাদেশ (এমবিসিবি) আজ রোববার সারাদেশে মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করে। প্রসঙ্গত, আগামী ১৬ ডিসেম্বর থেকে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)

পূর্ববর্তী নিবন্ধএক ফ্যান ও দুই বাতিতে বিল ৩ লাখ ৫৫ হাজার টাকা!
পরবর্তী নিবন্ধডেঙ্গু : এ বছর সবচেয়ে প্রাণঘাতী নভেম্বরে এ মাসে ৯৯ জনের মৃত্যু