চট্টগ্রামকে একটি সিলিকন সিটিতে রূপান্তর করার কাজ চলছে উল্লেখ করে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, চট্টগ্রামের কোনো উদ্ভাবনী তরুণ–তরুণী যদি উদ্যোক্তা হতে চায় তাদের যত ধরনের সেবা লাগবে বর্তমান সরকার তার সবটুকু দিতে প্রস্তুত রয়েছে। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামকে তিনটি উপহার দিয়েছেন। সেগুলো হলো ১শ কোটি ব্যয়ে ১০তলা শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর সেন্টার, শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং সেন্টার ইনকিউবেশন, যার নির্মাণকাজ চলছে। আরেকটা হলো নলেজ পার্ক, যা তৈরি করার জন্য জায়গা নির্বাচন করা হয়েছে।
গতকাল শনিবার নগরীর ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স আয়োজিত ৫ম আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বক্তব্য শেষে প্রতিমন্ত্রী বেলুন উড়িয়ে মেলা উদ্বোধন ঘোষণা করেন এবং বিভিন্ন স্টল পরিদর্শণ করেন।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন এবং প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন পূরণে আমাদের দেশে যারা আইটি ফ্রিল্যান্সার আছে তাদের যথাযথ ট্রেনিংনের মাধ্যমে উদ্যোক্তাতে পরিণত করতে হবে। অনেকে আছে যারা গ্রামে, উপজেলায় থেকেও দেশ–বিদেশের অনলাইন মাকের্টপ্লেসে আউটসোর্সিং মাধ্যমে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, অভিজ্ঞতা ও দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে তাদের উদ্যোক্তাতে পরিণত করতে পারলে সেখানে আরো হাজার–হাজার তরুণ–তরুণীর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা যাবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি ওমর হাজ্জাজ। এতে সোসাইটি অব চিটাগং আইটি প্রফেশনালের সভাপতি মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ ফরিদ, শফোস–এর কান্ট্রি ম্যানেজার এস এম মোহসিন ও প্রযুক্তি মেলার অ্যাডভাইজার শিপন কুমার বক্তৃতা করেন। উপস্থিত ছিলেন চেম্বার পরিচালকবৃন্দ মো. অহীদ সিরাজ চৌধুরী স্বপন, জহিরুল ইসলাম চৌধুরী আলমগীর, অঞ্জন শেখর দাশ, মাহফুজুল হক শাহ, মোহাম্মদ মনির উদ্দিন ও ওমর মুক্তাদির। এছাড়া চেম্বারের পরিচালকবৃন্দ, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি চট্টগ্রাম শাখার সভাপতি এবং অনেক উদ্যোক্তা উপস্থিত ছিলেন।
গতকাল শুরু হওয়া এই মেলা আগামীকালও সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে। এখানে ৪০টি কোম্পানির ৬৪টি স্টল রয়েছে। ঢাকা ও চট্টগ্রামের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন ও আয়ারল্যান্ডের মালিকানাধীন আইটি ও সল্যুশন বেইজড প্রতিষ্ঠান এবারের মেলায় অংশগ্রহণ করেছে।