চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে থামিয়ে দিয়ে বিপিএলের ফাইনালে উঠে গেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। গতকাল বিপিএলের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে চট্টগ্রামকে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারায় কুমিল্লা। সুনীল নারাইনের রেকর্ড ফিফটির পর ফাফ ডু প্লেসি ও মঈন আলীর ঝড়ো ব্যাটে সহজ জয় পায় কুমিল্লা। প্রথমে ব্যাট করা চট্টগ্রাম ১৯.১ ওভারে ১৪৮ রান করে অলআউট হয়। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৩ উইকেট হারিয়ে ও ৪৩ বল বাকি থাকতেই ফরচুন বরিশালের সঙ্গে ফাইনাল নিশ্চিত করে কুমিল্লা। ১৪৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে লিটন দাশ শূন্য রানে ফিরে গেলেও ঝড়ো ব্যাট করে মাত্র ১৩ বলে হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন সুনীল নারাইন। বিপিএল ইতিহাসে এটিই দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড। শেষ পর্যন্ত তিনি ১৬ বলে ৫টি চার ও ৬টি ছক্কায় ৫৭ করে বিদায় নেন। এরপর অধিনায়ক ইমরুল কায়েসের ২২ এবং ডু প্লেসির ২৩ বলে ৩০ ও মঈনের ১৩ বলে ৩০ রানের ঝড়ে দাপুটে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে দলটি। টস জিতে এর আগে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় চট্টগ্রাম। ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিল চট্টগ্রাম। দুই ওপেনার উইল জ্যাকস ও জাকির হাসান মিলেন ৩.৪ ওভারে ৩১ রান তোলেন। তবে এরপরই ছন্দপতন শুরু হয়। উইল জ্যাকস ৯ বলে ১৬ রান করে ফিরে যান। ১২ রানের মাঝে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ৪ ব্যাটার। চ্যাডউইক ওয়ালটন (২), জাকির হোসেন (২০), শামীম হোসেন (০) আউট হন। শেষ দুজনকে পরপর দুই বলে ফেরান মঈন আলী। ৪৩ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর দলকে টেনে তোলার চেষ্টা শুরু করেন অধিনায়ক আফিফ হোসেন আর মেহেদি মিরাজ। কিন্তু সেই চেষ্টাও ব্যর্থ হয়। আফিফ ১০ রান করে ফিরে যান। ৫০ রানে নেই ৫ উইকেট। এই পর্যায়ে আকবর আলী আর মিরাজের চেষ্টায় চট্টগ্রামের স্কোর তিন অংক ছাড়ায়। ৪০ বলে ৬১ রানের চমৎকার এই জুটি ভাঙে আকবর আলীর বিদায়ে। আউট হওয়ার আগে আকবরের সংগ্রহ ২০ বলে ২টি করে চার-ছক্কায় ৩৩। ৩৮ বলে ৩ চার ২ ছক্কায় সর্বোচ্চ ৪৪ রানের ইনিংস খেলা মিরাজকে ফেরান শহীদুল। তার তৃতীয় শিকার ৯ বলে ১৫ করা মৃত্যুঞ্জয়। শেষ ওভারের প্রথম বলে নাসুম আহমেদকে (০) মোস্তাফিজ এলবিডাব্লিউ করে দিলে ১৪৮ রানে অল-আউট হয় চট্টগ্রাম। কুমিল্লার হয়ে ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন মঈন আলী আর শহীদুল। ম্যাচ সেরা হয়েছেন নারাইন।