নির্বাচিত হলে জনদুর্ভোগ এড়াতে যখন-তখন যেকোনো সংস্থাকে রাস্তা কাটার অনুমতি দেবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, চট্টগ্রামের বিভিন্ন সড়কে ধুলোবালি উড়ছে। প্রতিদিন রাস্তা কাটা হচ্ছে। এতে সড়ক জুড়ে নোংরা পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। পরিবেশ দূষিত হওয়ায় মানুষজনও বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।
গতকাল মঙ্গলবার নগররের ২৯ নং পশ্চিম মাদারবাড়ী, ৩০ নং পূর্ব মাদারবাড়ী ওয়ার্ডে গণসংযোগকালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় চট্টগ্রাম শহরকে ওয়াইফাই নগরী হিসেবে গড়ে তোলারও প্রতিশ্রুত দেন। তিনি বলেন, ওয়াইফাই নগরী হলে শিক্ষার্থীরা বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তাদের পড়াশুনা চালিয়ে নিতে পারবে। শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে গবেষণা বৃদ্ধি পাবে। নিত্য-নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে চট্টগ্রামবাসী পরিচিত হবে। চসিক নির্বাচনে প্রচারণার ১২তম দিনে পশ্চিম মাদারবাড়ী ওয়ার্ডের কদমতলী মোড় থেকে গণসংযোগ শুরু করেন তিনি। এরপর মাদারবাড়ী ১ ও ২ নং গলি, যুগিচাঁদ মসজিদ লেইন, টং ফকির মাজার লেইন, মাদারবাড়ী ডিটি রোড, আইস ফ্যাক্টরি রোড হয়ে মাদারবাড়ী মসজিদের সামনে এসে পথসভার মাধ্যমে গণসংযোগ শেষ করেন। একই দিন পূর্ব মাদারবাড়ী ওয়ার্ডের মালুম মসজিদের সামনে থেকে গণসংযোগ শুরু করে মাঝিরঘাট, নালাপাড়া, স্টেশন কলোনি, আইস ফ্যাক্টরি রোড, বালিকা স্কুল মোড়, স্ট্র্যান্ড রোড, সিটি কলেজ, ইসলামিয়া কলেজ এলাকায় গিয়ে পথসভায় মিলিত হন। পথসভায় শাহাদাত বলেন, পরিকল্পিত শহর হিসেবে গড়ে তুলব চট্টগ্রামকে। সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মীদের সবসময় সড়কে থাকার ব্যবস্থা করব। দিনের ময়লা দিনেই পরিষ্কার করা হবে। শহরকে এমনভাবে গড়ে তুলব, যাতে অন্য সিটির লোকজন দেখতে আসে।
তিনি বলেন, দেশে প্রথম সিলেটকে ওয়াইফাই নগরী হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেখানে বাস্তবায়ন করতে পারলে, বাণিজ্যিক নগরী চট্টগ্রামকেও ওয়াইফাই নগরী হিসেবে গড়ে তোলা যায়। নগরীর গুরুত্বপূর্ণ শতাধিক পয়েন্টে শক্তিশালী রাউটার স্থাপন করে এটি বাস্তবায়ন সম্ভব। দরকার হলে এ জন্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া হবে। কোনো প্রকার বাফারিং ছাড়াই ইন্টারনেটের গতি স্পিডে এনে পুরো নগর ওয়াফাই শহর হিসেবে গড়ে তুলব। একেকটি এঙেস পয়েন্টের প্রতিটিতে একসঙ্গে ৫০০ জন যুক্ত থাকার মতো ব্যবস্থা করা হবে।
গণসংযোগে অংশ নিয়ে নগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, নির্বাচনের মাঠে নেমে হালে পানি পাচ্ছেন না আওয়ামী লীগের প্রার্থী। সস্তা সহানুভূতি পেতে বিএনপি নেতাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করে খড়কুটো আঁকড়ে ধরে থাকার কৌশল নিয়েছেন তিনি।
গণসংযোগে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম মাদারবাড়ী ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী হাজী মো. সালাউদ্দিন, পূর্ব মাদারবাড়ীর কাউন্সিলর প্রার্থী হাবিবুর রহমান, সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থী কামরুন্নাহার লিজা ও আরজুন নাহার মান্না, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম সাইফুল আলম, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, সদস্য জয়নাল আবেদিন জিয়া, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, মো. কামরুল ইসলাম, মশিউল আলম স্বপন, মো. আলী, মোস্তাফিজুর রহমান বুলু, নুর উদ্দিন হোসেন নুরু, কাউসার হোসেন বাবু, এম এ মুছা বাবলু, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, মো. ইলিয়াছ, খোরশেদ আলম, আব্দুর রহিম, মাহবুব আলম, নাছির উদ্দিন, জাহিদুল ইসলাম, ওমর ফারুক রুবেল, সিরাজ মিয়া, মো. জাহিদ, মো. শাহজান, আলমগীর সিরাজ, মো. রাশেদ, তসলিমুর রহমান, মোহাম্মদ তৈয়ব, মো. শাহআলম, কমল জ্যোতি বড়ুয়া, নুর জাহেদ বাবলু, সালাউদ্দিন জুয়েল, সাজ্জাদ সাজু, মোহাম্মদ আজম, মো. রাজিব, আনোয়ার আবেদিন মুন্না, ইউনুচ মিয়া জুয়েল, মো. নাহিদ. নাঈম উদ্দিন, মো. তানভীর, মো. সোহেল মো. আলী ও মো. সুমন।
