‘রাঢ়াঙ’ নাটকে পুলিশ কর্মকর্তার চরিত্রে অভিনয় করে ঢাকার মঞ্চে তুমুল প্রশংসিত হন চঞ্চল চৌধুরী ও আ খ ম হাসান। ২০০৪ সাল থেকে নাটকটি নিয়মিত মঞ্চস্থ করছে আরণ্যক নাট্যদল। ২০২০ সালে সবশেষ এই নাটকে অভিনয় করেছিলেন চঞ্চল। এবার ২০০তম প্রদর্শনীর মাইলফলক স্পর্শ করতে যাচ্ছে আরণ্যক প্রযোজিত এ নাটকটি। বিশেষ প্রদর্শনীতে আবারও মঞ্চে ফিরছে চঞ্চল চৌধুরীসহ নাটকটির পুরনো টিম। খবর বিডিনিউজের।
সাঁওতালদের জীবনের নানা ঘাত-প্রতিঘাত এবং সংগ্রামের চিত্র নিয়ে ‘রাঢ়াঙ’ নাটকটি রচনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন মামুনুর রশীদ। দেশ বিদেশের বিভিন্ন মঞ্চে প্রদর্শিত হয়েছে নাটকটি। ভারতের দিল্লি, কেরালা ও দক্ষিণ কোরিয়ার তিনটি আন্তর্জাতিক নাট্যোৎসবে নাটকটি প্রদর্শিত হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় জাতীয় নাট্যশালার পরীক্ষণ থিয়েটার মিলনায়তনে নাটকটির ২০০তম প্রদর্শনী হবে। এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় একই মিলনায়তনে নাটকটির ১৯৯তম প্রদর্শনী হবে বলে জানিয়েছেন আরণ্যকের সদস্য অপু মেহেদী।
চঞ্চল চৌধুরী বলেন, সম্ভবত ২০২০ সালে মামুনুর রশীদের জন্মোৎসবে নাটকটিতে সবশেষ অভিনয় করেছিলাম।
অপু মেহেদী বলেন, ২০০তম প্রদর্শনী উদযাপনের অংশ হিসেবে শুক্রবার সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার রুমে আয়োজন করা হবে একটি সেমিনার। এই নাটকে চঞ্চল, আ খ ম হাসান ছাড়াও অভিনয় করবেন মামুনুর রশীদ, শামীম জামান, জয়রাজসহ অনেকে। নাটকটিতে শ্যামলি চরিত্রে অভিনয় করছিলেন তমালিকা কর্মকার। বর্তমানে বিদেশে অবস্থান করার কারণে বিশেষ প্রদর্শনীতে থাকছেন না তিনি।
মঙ্গলবার ফেইসবুকে তমালিকা কর্মকার লিখেছেন, ‘আমাকে ছাড়া রাঢ়াঙ-এর ২০০তম শো হবে ভেবে বুকটা ভারী হয়ে যাচ্ছে, মনের অগোচরেই গানগুলো গাইছি, ডায়লগ বলছি। সুদূর আমেরিকায় আমি, তবে মনটা পড়ে আছে ওই মঞ্চে। মনে হচ্ছে আমি নির্বাসনে আছি। মাইকেল মধুসূদন দত্তের মতো বিদেশ বিভূঁইয়ে।’ নাট্যকার ও নির্দেশক মামুনুর রশীদ বলেন, ২০০০ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের নওগাঁয় আলফ্রেড সরেনের নেতৃত্বে ভূমির জন্য লড়াই ও আলফ্রেড সরেনের আত্মত্যাগ, সাঁওতালদের দীর্ঘ সংগ্রামের বিশাল উত্তরাধিকারকে মঞ্চে তুলে ধরার প্রয়াসই ‘রাঢ়াঙ’।