কক্সবাজারের চকরিয়া ও পেকুয়ায় দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর গায়েবানা জানাজাকে কেন্দ্র করে সংঘাত–সহিংসতায় পৃথক পাঁচটি মামলা রুজু করা হয়েছে। পাঁচ মামলায় মোট আসামি করা হয়েছে ৫৭৭৭ জনকে। এরমধ্যে চকরিয়া থানায় এজাহার নামীয় ৭৫ জনসহ তিন মামলায় আসামি করা হয়েছে ৩ হাজার ৭৫ জনকে। অন্যদিকে পেকুয়া থানায় দুটি মামলায় ২ হাজার ৭০২ জন জামায়াত–শিবিরের নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়। এতে এজাহার নামীয় আসামি করা হয় ৩০২ জনকে।
চকরিয়া প্রতিনিধি জানান, বুধবার রাতে চকরিয়া থানার এসআই মো. আল ফুরকান বাদী হয়ে দুটি এবং ঘটনার সময় নিহত ফোরকানুল ইসলামের স্ত্রী নুরুচ্ছফা বেগম বাদী হয়ে আরও একটি মামলা করেন। এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার ওসি জাবেদ মাহমুদ জানান, অন্তর্ঘাতমূলক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে নাশকতার দায়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে এবং সরকারি কাজে বাধা, পুলিশ আক্রান্ত, গাড়ি ভাঙচুরের দায়ে পুলিশের পক্ষ থেকে দুটি মামলা রুজু করা হয়েছে। দুটি মামলাতেই এজাহারনামীয় আসামি করা হয়েছে ৭৫ জন করে। দুইটাতেই অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে প্রায় ৩ হাজার জন। অন্যদিকে সংঘাত–সংঘর্ষের সময় নিহত ব্যক্তির স্ত্রী নুরুচ্ছফা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাত ২ হাজার জনের বিরুদ্ধে লিখিত এজাহার দিলে তা মামলা হিসেবে রুজু করা হয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত কোনো আসামি গ্রেপ্তার করা যায়নি।
এদিকে পুলিশ পাহারায় গতকাল দুপুরে দাফন–কাফন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে নিহতের। এর আগে ময়নাতদন্ত কার্যক্রম শেষে দুপুরে লাশ হস্তান্তর করা হয় পরিবারের কাছে। পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের আবদুল বারী পাড়াস্থ মসজিদ মাঠে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
পেকুয়া প্রতিনিধি জানান, পেকুয়ায় সাঈদীর গায়েবানা জানাজাকে কেন্দ্র করে পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে পেকুয়া থানায়। গতকাল সন্ধ্যায় পেকুয়া থানার এসআই মুফিজুল ইসলাম বাদি হয়ে পেকুয়া থানায় মামলা দুটি রুজু করেন।
পেকুয়া থানার ওসি মোহাম্মদ ওমর হায়দার দৈনিক আজাদীকে জানান, ১৫ আগস্ট সাঈদীর গায়েবানা জানাজাকে কেন্দ্র করে বারবাকিয়া বাজারে পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় পেকুয়া থানার এসআই মুফিজুল ইসলাম বাদী হয়ে ২টি মামলা দায়ের করেছেন। এতে প্রতিটি মামলায় এজহার নামীয় ১৫১ জনসহ অজ্ঞাত আরো ১১শ হতে ১২শ জনকে আসামি করা হয়েছে। এদিকে দুটি মামলায় মোট এজহার নামীয় আসামি ৩০২ জন সহ আজ্ঞাত আরো ২৪০০ জন আসামি হবার খবরে পেকুয়ায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে।