চকরিয়া-পেকুয়ায় ১০৩২ পরিবার পুনর্বাসিত

শীঘ্রই ভূমি ও গৃহহীনমুক্ত উপজেলা ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রী

চকরিয়া প্রতিনিধি | রবিবার , ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ at ৬:১০ পূর্বাহ্ণ

কক্সবাজার১ সংসদীয় আসনের দুই উপজেলা চকরিয়া ও পেকুয়াকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মুজিবশতবর্ষ উপলক্ষে তালিকাভুক্ত হওয়া দুই উপজেলার ভূমিহীন ১০৩২ পরিবার কয়েকটি ধাপে পুনর্বাসিত হয়েছেন।

সূত্র জানায়, যাচাইবাছাইয়ের পর ২০১৭ সালের তালিকাভুক্ত প্রকৃত ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারগুলোকে দুই শতাংশ করে খাস জায়গায় বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার মাধ্যমে পুনর্বাসিত করা হয়েছে। দুই উপজেলায় সর্বশেষ উপকারভোগী নির্বাচিত হওয়া পরিবারগুলোকে পুনর্বাসনের জন্য খাস জায়গায় নতুন বাড়িও তৈরি করা হয়েছে।

দুই উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, যারা উপকারভোগী নির্বাচিত হয়েছেন তাদের জন্য সরকারি খাস জায়গায় নতুন বাড়ি তৈরির নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। বাকি থাকা কয়েকটি বাড়িও নির্মাণের কাজ এগিয়ে চলছে। খুব শীঘ্রই প্রধানমন্ত্রী পরিবারগুলোর কাছে বাড়িগুলো হস্তান্তর করবেন। একইসাথে ওইদিনই কক্সবাজার জেলায় প্রথমবারের মতো সংসদীয় আসন কক্সবাজার১ এর নির্বাচনী এলাকা চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এজন্য সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হচ্ছে দুই উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে।

চকরিয়া এই উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত উপজেলা ঘোষণা করার লক্ষ্যে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে একটি যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ইউএনও জেপি দেওয়ানের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য জাফর আলম, উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী, ভাইস চেয়ারম্যানদ্বয়, সকল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টরা। সংসদীয় আসনের আরেক উপজেলা পেকুয়াকেও একই ঘোষণাকল্পে ২৩ ফেব্রুয়ারি যৌথ সভা হয়। ইউএনও পূর্বিতা চাকমার সভাপতিত্বে যৌথ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য জাফর আলম। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী কমিশনার (ভূমি), সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টরা।

এই প্রসঙ্গে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেপি দেওয়ান দৈনিক আজাদীকে জানান, চকরিয়া উপজেলায় মোট ৮৭৪টি পরিবারকে গৃহহীন ও ভূমিহীন শ্রেণিভুক্ত করে পরিবারগুলোকে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে প্রথম পর্যায়ে ১৮২টি, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ে আরও ২৫০টি করে ৫০০টি ঘরের বরাদ্দ দেওয়া হয়। সর্বশেষ চতুর্থ পর্যায়ের অবশিষ্ট ১৯২টি ঘরের বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। যা বর্তমানে নির্মাণের একেবারে শেষ পর্যায়ে রয়েছে। শীঘ্রই প্রধানমন্ত্রী ঘরসমূহ উদ্বোধন করবেন।

পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পূর্বিতা চাকমা জানান, পেকুয়ার সাতটি ইউনিয়ন থেকে প্রাপ্ত ভূমিহীন ও গৃহহীনদের আবেদন যাচাইবাছাই করে ১৫৮টি পরিবারকে উপকারভোগী হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। তদ্মধ্যে ২৭টি ছাড়া বাকি পরিবারগুলো পুনর্বাসিত হয়েছে। শীঘ্রই বাকি পরিবারকেও নির্মাণকাজ শেষ হওয়া ঘরের চাবি, কবুলিয়ত দলিল, খতিয়ান হস্তান্তরপূর্বক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর পুনর্বাসিত করা হবে।

এই বিষয়ে কক্সবাজার১ আসনের সংসদ সদস্য জাফর আলম বলেন, কক্সবাজার জেলার মধ্যে একমাত্র সংসদীয় আসন কক্সবাজার১ এর নির্বাচনী এলাকা চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলাকে শীঘ্রই ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এটি নিঃসন্দেহে খুশির খবর। সেই মাহেন্দ্রক্ষণের জন্য আমরা চকরিয়াপেকুয়াবাসী অধীর আগ্রহে রয়েছি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধউপন্যাসে আগ্রহ পাঠকের
পরবর্তী নিবন্ধবিডিআর বিদ্রোহের ষড়যন্ত্রের সঙ্গে বিএনপিও যুক্ত : তথ্যমন্ত্রী