চকরিয়ার সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যাড, সিল ও চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর জাল করে ভুয়া মৃত্যু সনদ তৈরি করে সাতজনকে এতিম দেখিয়ে সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আদালতে মামলা হয়েছে। জালিয়াত চক্রের ১০ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ১০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে গতকাল রোববার উপজেলার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে মামলাটি করেন ইউপি চেয়ারম্যান আজিমুল হক আজিম। এ সময় বাদীর অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য সিআইডি কক্সবাজারকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মামলার আসামিরা হলেন- পূর্ব সুরাজপুর গ্রামের রব্বত আলীর ছেলে নুরুল কাদের, মোহাম্মদ ইসমাইলের ছেলে আজিজ উল্লাহ, আশেক আহমদের ছেলে আবদুর রাজ্জাক, ওসমান গণির ছেলে জাফর আলম, আবুল হোসেনের ছেলে হারুণুর রশিদ, আকতার আহমদের ছেলে মো. ইদ্রিস, দক্ষিণ সুরাজপুরের মো. কাইছারের ছেলে ও পৌরশহরের ডিজিটাল সাইন কম্পিউটার সেন্টারের মালিক আবদুল্লাহ রায়হান, মানিকপুর গ্রামের আবদুছ ছালাম খলিফার ছেলে রুস্তম শাহরিয়ার, পূর্ব ভিলেজার পাড়ার মোক্তার আহমদের ছেলে মো. আইয়ুব ও মাহবুবুল আলমের ছেলে মো. রুবেল।
বাদীপক্ষের কৌসুলী চকরিয়া আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট হাবিব উদ্দিন মিন্টু জানান, স্পর্শকাতর বিষয়গুলো নিয়ে সুরাজরপুর-মানিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের করা মামলাটি আদালতের বিচারক আমলে নিয়েছেন। এ সময় আদালত বিষয়টি তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন জমা দিতে সিআইডি কঙবাজারকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার বাদী সুরাজপুর-মানিকপুর ইউপি চেয়ারম্যান আজিমুল হক আজিম দৈনিক আজাদীকে বলেন, ‘সামনে ইউপি নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে। তাই নির্বাচনে আমার সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী রুস্তম শাহরিয়ারসহ স্থানীয়ভাবে একটি জালিয়াতচক্র মিলে পরিষদের প্যাড, সিল ও আমার স্বাক্ষর জাল করে সাতজন জীবিত মানুষকে মৃত দেখিয়ে ভুয়া মৃত্যুসনদ তৈরি করে। যেসব সনদ পরিষদের ইস্যুকৃত বালামের মধ্যে নেই। সেই ভুয়া সনদ ব্যবহার করে তাদের সন্তানদের সুরাজপুর ইসলামিয়া হেফজখানা ও এতিমখানায় ভর্তি দেখিয়ে কয়েকবছর ধরে সরকারিভাবে বরাদ্দকৃত টাকা আত্মসাত করে আসছেন সংশ্লিষ্টরা। ওই মাদরাসার আমি সদস্যও নই। বিষয়টি নজরে আসার পর আমি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি।’
তবে আসামিদের একজন রুস্তম শাহরিয়ার দৈনিক আজাদীকে বলেন, আমি ওইসব বিষয়ে কিছুই জানি না। কোন অনিয়মের সাথেও আমি জড়িত নই। আদালত এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন।












