চকরিয়ায় চিংড়ি চাষের জমি জবর-দখলের সময় বনবিভাগের হেডম্যানের নেতৃত্বে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে সন্ত্রাসীদের গুলিতে ৮ জন গুলিবিদ্ধ হয়। এ ঘটনায় থানায় ২৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। মামলায় এজাহারনামীয় আসামি করা হয়েছে ৮ জনকে।
পুলিশ জানায়, গত বৃহস্পতিবার রাতে থানায় মামলাটি রুজু করেন কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের ফাঁসিয়াখালী বনবিটের হেডম্যান ও রিংভং ছগিরশাহ কাটার মৃত শাহাব মিয়ার ছেলে নুরুল আমিন। এর আগে গত ২৮ মার্চ রাত বারোটার দিকে রিংভং এলাকায় বনবিভাগের মালিকানাধীন আর এস ৬৫ নম্বর খতিয়ানের আর এস ২১৩ দাগের ৩০ একর চিংড়ি চাষের জমির দখল নিয়ে এই হামলা ও গুলির ঘটনাটি ঘটে। মামলার এজাহারনামীয় ৮ আসামি হলেন রিংভং ছগিরশাহ কাটা গ্রামের কাশেম আলী, মিজানুর রহমান, মোহাম্মদ আরাফাত, রব্বত আলী, মোহাম্মদ ফরহাদ, মোহাম্মদ ইদ্রিস, আহমদ আলী, সাজ্জাদ হোছাইন। এছাড়াও মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরো ২০ জনকে।
এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার ওসি শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের বলেন, বনবিভাগের মালিকানাধীন চিংড়ি প্রকল্পের জমি জবর-দখলের চেষ্টা ও গুলিবর্ষণের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশ। এর পর তদন্তে ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার পর বনবিভাগের হেডম্যান বাদী হয়ে থানায় এজাহার দিলে তা মামলা হিসেবে রুজু করা হয়েছে। পুলিশ মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।