কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা ও চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় পৃথক ঘটনায় তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। চকরিয়ায় মাটির কাটার গর্তে জমে থাকা পানিতে ডুবে পাঁচ বছর বয়সী দুই খেলার সাথী ও আনোয়ারায় পরিবারের অজান্তে পুকুরে ডুবে আরো এক শিশুর মৃত্যু হয়।
চকরিয়া প্রতিনিধি জানান, উপজেলায় বাড়ির পেছনে মাটি কাটার গর্তে জমে থাকা পানিতে ডুবে দুই শিশুকন্যার মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। নিহত ওই দুই শিশু ভিন্ন ভিন্ন পরিবারের সন্তান। বাড়ির পেছনে খেলার সময় তারা গর্তের পানিতে পড়ে যায়।
গতকাল দুপুরে উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। মারা যাওয়া দুই শিশু হলো– দক্ষিণ পাড়ার আবদুল মাবুদের শিশুকন্যা মো. নোমান (৫) ও একই এলাকার বেলাল উদ্দিনের শিশুকন্যা জান্নাতুল ফেরদৌস (৫)।
শিশু নোমানের দাদা নুরুছ ছফা বলেন, বাড়ির পেছনের অংশ থেকে গত কয়েকদিন আগে মাটি কাটা হয়। এতে বড় গর্তের সৃষ্টি হয় এবং সেখানে পানি জমে। দুপুর বারোটার দিকে নোমান ও জান্নাতুল ফেরদৌস ওই গর্তের পাশে খেলা করছিল। খেলার ছলে হঠাৎ করে দুইজন ওই গর্তে পড়ে যায়। দূর থেকে ঘটনাটি জান্নাতুল ফেরদৌসের মা দেখতে পেয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় তাদের উদ্ধার করে। পরে তাদের দুইজনকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আজিজুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ঘটনাটি জানার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বিষয়টি থানার ওসিকে জানানো হয়েছে। একসঙ্গে দুই শিশু মারা যাওয়ার ঘটনায় পুরো গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
আনোয়ারা প্রতিনিধি জানান, উপজেলায় পুকুরে ডুবে সোহা নামে দেড় বছর বয়সী এক কন্যাশিশুর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল দুপুরে উপজেলার বৈরাগ ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শিশুটি স্থানীয় শাখাওয়াত হোসেন শাকিলের একমাত্র কন্যা।
স্থানীয়রা জানান, দুপুরে পরিবারের সদস্যদের অজান্তে উঠানে বের হয়ে ঘরের পাশের পুকুরে পড়ে যায় সোহা। পরবর্তীতে শিশুটিকে পুকুর থেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. উপমা জানায়, হাসপাতালে আনার আগেই সোহার মৃত্যু হয়।












