একটানা তিনদিনের ভারি বর্ষণে কক্সবাজারের চকরিয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানি বিপদসীমা অতিক্রম করে প্রবাহিত হচ্ছে মাতামুহুরী নদীতে। ইতোমধ্যে নদীর দুই তীর উপচে লোকালয়ে ঢুকে পড়ার উপক্রম হয়েছে বানের পানি। এতে মাতামুহুরী নদীর দুই তীরে বসবাসকারী পরিবারগুলোর মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। তার ওপর একনাগাড়ে ভারি বর্ষণ অব্যাহত থাকায় যে কোন মুহূর্তে ভয়াবহ বন্যার পদধ্বনি দেখা দিতে পারে চকরিয়ায়।
এদিকে টানা ভারি বর্ষণের কারণে ব্যাপকভাবে পাহাড় ধসের আশঙ্কা থাকায় সংরক্ষিত বনাঞ্চল ও পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারী লোকজন যাতে নিরাপদে সরে যায় সেজন্য মাইকিং করা হচ্ছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। সতর্কবার্তা দিয়ে মানুষকে সচেতন করার কর্মসূচীও চলছে এলাকায় এলাকায়। অপরদিকে বর্ষণ অব্যাহত থাকায় ইতোমধ্যে উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার নিন্মাঞ্চল পানিতে ডুবে গেছে। এতে আমান ধান ও সবজির আবাদ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে বলে উপজেলা কৃষি বিভাগ জানিয়েছে।
সরজমিন দেখা গেছে– চকরিয়ার মাতামুহুরী নদী বিধৌত ইউনিয়ন বমু বিলছড়ি, সুরাজপুর–মানিকপুর, কাকারা, লক্ষ্যারচর, কৈয়ারবিল, বরইতলী, কোনাখালী, পূর্ব বড় ভেওলা, বিএমচরসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের নিন্মাঞ্চল ইতোমধ্যে কয়েক ফুট পানিতে তলিয়ে রয়েছে। পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মাতামুহুরী নদীতীরের এক নম্বর গাইড বাঁধও হুমকির মুখে রয়েছে। নদীতে পানির চাপ বাড়তে থাকায় যে কোন মুহূর্তে তীরের গাইড বাঁধ ভেঙে ব্যাপকভাবে লোকালয়ে বানের পানি ঢুকে পড়তে পারে। এছাড়াও নানা কারণে বিভিন্ন ছড়াখালগুলো ভরাট হয়ে পড়ায় দ্রুত ভাটির দিকে পানি নামতে পারছে না। এর ওপর অব্যাহতভাবে চলছে ভারি বর্ষণ। এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধগুলোও চরম ঝুঁকির মুখে রয়েছে। এখনো বেড়িবাঁধ উপচে পানি লোকালয়ে না ঢুকলেও যে কোন সময় বেড়িবাঁধ ভেঙে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।












