কক্সবাজারের চকরিয়ায় শ্যামলী পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা অপর একটি মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারিয়েছেন মাইক্রোবাস যাত্রী এক শিক্ষক। এ সময় আহত হয়েছেন মাইক্রোবাসের আরও সাত যাত্রী। তাদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ এবং কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ছয়টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়ার হারবাং ইউনিয়নের লালব্রিজ এলাকায় এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। এ সময় ঢাকা থেকে কক্সবাজারগামী শ্যামলী পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় দুমড়েমুচড়ে যায় বিপরীত দিক থেকে আসা মাইক্রোবাসটি। নিহত শিক্ষকের নাম নুরুল আলম (৪০)। তিনি বান্দরবান ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের বাংলা বিভাগের শিক্ষক এবং চকরিয়া পৌরসভার বিনামারা গ্রামের মোস্তাক আহমদের পুত্র। কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য তিনি ভোরে বাড়ি থেকে বের হয়ে ওই মাইক্রোবাসে উঠেন। আহতরা হলেন মোহাম্মদ হেলাল (২৮), মো. শামীম (২৭), লেদু মিয়া (৪৮), আশরাফ উল্লাহ (২৫), কলিম উল্লাহ (৩৭), মো. মিশকাত (২১), মো. মোজাফ্ফর (২২)।
মহাসড়কের বানিয়ারছড়াস্থ চিরিঙ্গা হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর জাহাঙ্গীর আলম জানান, দুর্ঘটনার পরপরই শ্যামলী বাসটি পালিয়ে যায়। ওই বাসের কেউ হতাহত হয়নি। যারা হতাহত হয়েছেন তারা সবাই মাইক্রোবাসের যাত্রী ছিলেন। খবর পেয়ে হতাহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে একজনকে মৃত ঘোষণা এবং আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য চমেক ও কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। দুর্ঘটনায় পতিত মাইক্রোবাসটি জব্দ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।