কক্সবাজারের চকরিয়ায় ১২ বছরের এক রোহিঙ্গা কিশোরীকে ধর্ষণচেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। বাসে তুলে নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে ওই কিশোরীকে ধর্ষণচেষ্টা চালানোর সময় মেয়েটির চিৎকারে লোকজন জড়ো হয়। এ সময় বাসের চালক ও সুপারভাইজার পালিয়ে গেলেও স্থানীয় জনতার সহায়তায় গ্রেপ্তার করা হয় মো. ফারুক (৩০) নামে এক সহকারীকে। গত শুক্রবার রাতে পৌরশহরের তিন নম্বর ওয়ার্ডের বাটাখালী এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। পরে ওই রোহিঙ্গা কিশোরী বাদী হয়ে তিনজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা রুজু করে। আসামিরা হলেন চট্টগ্রামের আমিরাবাদ ইউনিয়নের রাজঘাট এলাকার শাহজান শরীফের ছেলে শ্যামলী বাসের চালক শাহ এমরান (৩৫), চকরিয়ার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের রিংভং সোয়াজিন্নাহ গ্রামের আমির উদ্দিনের ছেলে বাসের সুপারভাইজার মো. মাহবুব (৩২) ও একই এলাকার আবু ছৈয়দের ছেলে বাসের মো. ফারুক (৩০)।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, উখিয়ার কুতুপালং এক নম্বর ব্লকের রোহিঙ্গা ওই কিশোরী কয়েকদিন আগে কাজের সন্ধানে চট্টগ্রামে যায়। সেখানে কাজ না পেয়ে ক্যাম্পে ফিরতে শুক্রবার বিকেলে লোকাল হানিফ পরিবহনের একটি বাসে উঠে। বাসটি রাতে চকরিয়া পৌরশহরের শহীদ আবদুল হামিদ বাস টার্মিনালে পৌঁছলে নেমে পড়ে সে। পরে টার্মিনালে থাকা শ্যামলী পরিবহনের একটি লোকাল বাসের সহকারী ফারুককে ওই কিশোরী জিজ্ঞেস করে, উখিয়ায় যাবে কিনা। এ সময় যাবে বলে, ওই কিশোরীকে খালি বাসে তুলে চকরিয়া পৌরসভার বাটাখালী এলাকার নির্জনস্থানে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় চালক, সুপারভাইজার ও সহকারী। এ সময় চিৎকার দিলে লোকজন জড়ো হতে দেখে চালক ও সুপারভাইজার পালিয়ে যায়। একজন পুলিশের জাতীয় জরুরি সেবার ৯৯৯ নম্বরে ফোন দেয়। এর কিছুক্ষণ পর চকরিয়া থানার পুলিশ পৌঁছে এবং জনতার সহায়তায় সহকারী ফারুককে গ্রেপ্তার করে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে থানার ওসি মুহাম্মদ ওসমান গনি বলেন, ওই রোহিঙ্গা কিশোরীকে ধর্ষণচেষ্টায় মামলা নেওয়া হয়েছে। কিশোরীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য কঙবাজার সদর হাসপাতালের ওসিসিতে প্রেরণ করা হয়েছে। এজাহারনামীয় বাকী দুইজনকে গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে।