একটানা চারদিনের ভারি বর্ষণ ও মাতামুহুরী নদীতে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে চকরিয়ায় ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে প্রায় ৪ লাখ মানুষ এখন পানিবন্দি অবস্থায় দুর্বিষহ জীবন–যাপন করছেন। উপজেলা সদরের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে অভ্যন্তরীণ সড়কগুলো কয়েকফুট পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায়। এ অবস্থায় রান্নাবান্না করতে না পারায় তীব্র খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকটে পড়েছেন এসব মানুষ।
এদিকে মাতামুহুরী নদীতে নেমে আসা বানের পানিতে লাকড়ি ধরতে গিয়ে ভেসে গিয়ে নিখোঁজ রয়েছেন মো. শাহ আলম (৩৫) নামের এক যুবক। গতকাল সোমবার সকাল ৯টার দিকে বাড়ির কাছে লক্ষ্যারচর হাজি পাড়া পয়েন্টে লাকড়ি ধরতে নদীতে ঝাঁপ দেয় শাহ আলম। এ সময় পানির তীব্র স্রোতে ভেসে গিয়ে নিখোঁজ হয়। শাহ আলম ওই এলাকার জাকের হোসাইনের ছেলে। লক্ষ্যারচর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান শহীদ উল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে বন্যার কারণে অঘোষিতভাবে বন্ধ হয়ে গেছে দুই উপজেলার দেড় শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ভেসে গেছে বিভিন্ন পুকুরের মৎস্যভাণ্ডার ও তলিয়ে গেছে প্রায় ৩০ হাজার একর জমির সবজিসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষেত। অতি ভারি বর্ষণ অব্যাহত থাকায় দুই উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি দীর্ঘ হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। দুই উপজেলার অন্তত ১৬টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার সিংহভাগ এলাকা বানের পানিতে তলিয়ে যায়।