সুদের টাকা না পেয়ে কঙবাজারের চকরিয়ার বরইতলীর সবুজপাড়ায় গাছের সাথে বেঁধে গৃহবধূ নূর আয়েশাকে নির্যাতনের ঘটনায় মূলহোতা শওকত ওসমানের বাবা জহির আহমদকে গতকাল বৃহস্পতিবার উপজেলা জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে তোলা হয়। এ সময় আদালতের বিচারক তাকে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। এর আগে বুধবার রাতে নির্যাতিতা নূর আয়েশা বাদী হয়ে শওকত ওসমানকে প্রধান আসামি করে ৬ জনের নামে মামলা রুজু করেন চকরিয়া থানায়। তন্মধ্যে এজাহারনামীয় আসামি করা হয় শওকতের বাবা গ্রেপ্তার জহির আহমদ, মা সাফিয়া খাতুন, স্ত্রী শাহিনা আক্তারকে। বাকি দুইজনকে অজ্ঞাত আসামি দেখানো হয়। এদিকে গতকাল সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন কঙবাজারের পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান। এ সময় তিনি ভিকটিম নূর আয়েশাসহ স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে ঘটনার বর্ণনা শুনেন এবং নির্যাতিতাসহ পরিবার সদস্য এবং এলাকাবাসীকে অভয় দেন। তিনি বলেন, নারীর প্রতি সংঘটিত অমানবিক ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হবে। এ সময় সাথে ছিলেন চকরিয়া সার্কেলের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মো. তফিকুল আলম, থানার ওসি শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের, বরইতলী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জালাল আহমদ সিকদার প্রমুখ। পুলিশ জানায়, সুদের কারবারে জড়িত বরইতলী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের হাফালিয়া কাটা এলাকার সবুজ পাড়ায় সুদের কারবারে জড়িত জহির আহমদের ছেলে শওকত ওসমান গত মঙ্গলবার দুপুরে সুদের টাকা না পেয়ে একই এলাকার টিউবওয়েল মিস্ত্রির স্ত্রী নূর আয়েশাকে গাছের সাথে বেঁধে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন। নির্যাতনের এই দৃশ্য ঘটনার একদিন পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে তোলপাড় শুরু হয়। তাৎক্ষণিক ঘটনার মূল হোতা শওকতকে আটক করতে বাড়িতে অভিযান চালাতে যায় পুলিশ। কিন্তু তার আগেই শওকতকে তার বাবা জহির আহমদ পালিয়ে যেতে সহায়তা করেন। ভিকটিমের এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ জহির আহমদকে গ্রেপ্তার করে। এর পর ভিকটিম নূর আয়েশা বাদী হয়ে বুধবার রাতেই ৬ জনকে আসামি করে মামলা রুজু করেন। এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার ওসি শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের দৈনিক আজাদীকে বলেন, ‘ঘটনার মূল হোতা শওকত ওসমানকে গ্রেপ্তারে পুলিশ প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে এগুচ্ছে। অন্য আসামিরাও পলাতক রয়েছে। অচিরেই সবাইকে গ্রেপ্তার করা হবে।