চকরিয়ায় মো. ফোরকান নামে এক ব্যক্তির দখলে থাকা প্রায় এক একর সংরক্ষিত বনভূমি উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় সংরক্ষিত বনভূমি দখলে রেখে নির্মিত বাউন্ডারি দেওয়ালও। একইসাথে অপসারণ করা হয় সেখানে থাকা বেশ কয়েকটি অবৈধ স্থাপনাও। গতকাল সোমবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত সাঁড়াশি এই অভিযান চালানো হয় চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের মালুমঘাট স্টেশন লাগোয়া সংরক্ষিত বনভূমিতে।
কঙবাজার উত্তর বনবিভাগের বিভাগীয় বনকর্মকর্তা (ডিএফও) মো. তহিদুল কবিরের নির্দেশে ও সহকারী বনসংরক্ষক সোহেল রানার সার্বিক সহযোগিতায় এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মাজহারুল ইসলাম। এ সময় সাথে ছিলেন ডুলাহাজারা বনবিট কর্মকর্তা মো. ইলিয়াছ, রেঞ্জ ও বিটের কর্মচারী, ভিলেজার, সিপিজি সদস্যসহ শ্রমিকেরা।
বনবিভাগ সূত্র জানায়, মালুমঘাটের মো. ফোরকানের বিরুদ্ধে অন্তত ১০টি বন মামলা রয়েছে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বনের গাছ কাটা, সংরক্ষিত বনভূমি জবর-দখলে নিয়ে বেচাবিক্রি থেকে শুরু করে সকল ধরনের অপরাধ কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিলেন। ফোরকান মালুমঘাট এলাকার গোলাম কাদেরের ছেলে।
ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মাজহারুল ইসলাম জানান, বনদস্যু ফোরকানের দখল থেকে সংরক্ষিত বনভূমি পুনরুদ্ধারের জন্য ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মোতাবেক গতকাল সোমবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত সাঁড়াশি অভিযান চালানো হয়। এ সময় চারিদিকের প্রায় ৩০০ ফুট লম্বা বাউন্ডারি দেওয়াল গুঁড়িয়ে দেওয়াসহ সেখানে নির্মিত বেশ কয়েকটি অবৈধ স্থাপনাও উচ্ছেদ করা হয়। এতে জবরদখলমুক্ত হয় প্রায় এক একর সংরক্ষিত বনভূমি। তার বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।