চকরিয়ায় অপহৃত এক ব্যক্তিকে ১০ ঘণ্টা পর উদ্ধার

পুড়িয়ে মারার হুমকি দিয়ে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি চক্রের ২ সদস্য গ্রেপ্তার

চকরিয়া প্রতিনিধি | বুধবার , ২৬ জুলাই, ২০২৩ at ৫:১২ পূর্বাহ্ণ

কক্সবাজারের চকরিয়ায় অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়কারী চক্রের কবল থেকে কুতুব উদ্দিন (৩১) নামে অপহৃত এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। একইসাথে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ওই চক্রের দুই সদস্যকে। গতকাল দুপুরে তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। এর আগে এই ঘটনায় অপহৃত ব্যক্তি বাদী হয়ে পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ আরো তিনজনকে অজ্ঞাত আসামি করে থানায় মামলা করেন। অপহরণের শিকার কুতুব উদ্দিন উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের দুই নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যম মেদাকচ্ছপিয়া গ্রামে নুরুল আলমের পুত্র। গ্রেপ্তার দুজন হলেন চকরিয়া পৌরসভার দুই নম্বর ওয়ার্ডের হালকাকারা গ্রামের মৃত ওবায়দুল হকের ছেলে মাজহারুল ইসলাম জিসান (৩৫) ও বিমানবন্দর পাড়ার নুরুল আলমের ছেলে সৈয়দ মোহাম্মদ পারভেজ (৫০)

মামলার অন্য আসামিরা হলেন ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বৈরাগীর খিল গ্রামের মকছুদ আহমদের ছেলে মো. নয়ন (৩৫), পশ্চিম বড় ভেওলা ইউনিয়নের দরবেশকাটা গ্রামের মো. ছোটন (৩৮) ও ঈদগাঁও উপজেলার ঈদগাঁও গ্রামের মনছুর আলম প্রকাশ মনছুর বলির ছেলে মোহাম্মদ জিকু (৪৮)

চকরিয়া থানার অপারেশন অফিসার রাজীব চন্দ্র সরকার আজাদীকে জানান, গ্রেপ্তার দুজনসহ পলাতক আসামিরা সংঘবদ্ধ অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়কারী চক্রের সদস্য। চক্রটি চকরিয়া পৌরশহরে পুরাতন বাস টার্মিনাল এলাকায় ফাঁদ পেতে নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে অপহরণের পর মোটা অংকের মুক্তিপণ আদায়ের উদ্দেশ্যে অপরাধ সংঘটন করে আসছিল। গত সোমবার বেলা দেড়টার দিকে সেই চক্রের এক সদস্য খুটাখালীর কুতুব উদ্দিনকে কথা আছে বলে এক পাশে নিয়ে যায়। তখন তিনি কিছু বলতে চাওয়া মাত্র চড় মারে। একপর্যায়ে অন্য সদস্যরাসহ কুতুব উদ্দিনকে টেনেহিঁচড়ে অদূরে একটি ঘরে আটকে রেখে টাকা, মোবাইল কেড়ে নেয়। এরপর বাড়িতে স্ত্রীর কাছে খবর পাঠায়, তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ না দিলে শরীরে কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে মারা হবে।

তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে ভিকটিমের স্ত্রী অপহরণকারীদের দেওয়া বিকাশ নম্বরে ২৫ হাজার টাকা প্রেরণ করে। এর আগে তিনি পুরো বিষয়টি ভিকটিম কুতুবের ছোট ভাই ও এক নিকটাত্মীয়কে অবহিত করলে তাৎক্ষণিক পুলিশের সহায়তা চাওয়া হয়। এরপর পুলিশ প্রযুক্তির সহায়তা নেওয়াসহ কৌশলে অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়কারী চক্রের কবল থেকে কুতুব উদ্দিনকে উদ্ধারে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করে। অপহরণের প্রায় দশ ঘণ্টা পর রাতে উদ্ধার হয় কুতুব উদ্দিনকে।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদ মাহমুদ আজাদীকে বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পরপরই ভিকটিমকে জীবিত উদ্ধারে নানা কৌশল অবলম্বন করি। অবশেষে প্রযুক্তির সহায়তায় মুক্তিপণ আদায়কারী চক্রের অন্যতম হোতা দুজনকে গ্রেপ্তার এবং ভিকটিককে উদ্ধারে সক্ষম হই। এই ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে ডেঙ্গুতে শিশুর মৃত্যু, হাসপাতালে নতুন ১১৪ রোগী
পরবর্তী নিবন্ধদেশে ডেঙ্গুতে মৃত্যু ছাড়াল ২০০