কক্সবাজারের চকরিয়ায় কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় নবম শ্রেণীতে পড়ুয়া এক স্কুল শিক্ষার্থীকে জোরপূর্বক অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। অপহরণের ইতোমধ্যে পাঁচদিন পেরিয়ে গেলেও অপ্রাপ্তবয়স্ক ওই শিক্ষার্থীর এখনো হদিস মিলছে না। এই অবস্থায় শিক্ষার্থীর পরিবারে কান্নার রোল পড়েছে। এ দিকে এই অপহরণের ঘটনায় জড়িত বখাটেকে আসামি করে গতকাল রোববার থানায় একটি মামলা রুজু করেছেন অপহৃত শিক্ষার্থীর মা।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ১৭ অক্টোবর বিকেল তিনটার দিকে বাড়ি থেকে পায়ে হেঁটে প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে যাওয়ার সময় উপজেলার কাকারা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মালিপাড়া সড়ক থেকে কয়েকজনের বখাটের দল ওই শিক্ষার্থীকে জোরপূর্বক একটি গাড়িতে তুলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। অপহৃত শিক্ষার্থী কাকারা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। বাড়ি ইউনিয়নের মাইজকাকারা গ্রামে। শিক্ষার্থী অপহরণে জড়িত বখাটের নাম মো. মোবারক ওরফে বারেক (২৭)। সে ইউনিয়নের একই গ্রামের মৃত নজু মিয়ার ছেলে।
অপহৃত শিক্ষার্থীর মা অভিযোগ করেছেন- তাঁর অপ্রাপ্তবয়স্ক স্কুলপড়ুয়া মেয়েকে প্রায় দুইমাস ধরে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল বখাটে মোবারক ওরফে বারেক। এমনকি অভিভাবকদের মাধ্যমে বিয়ের প্রস্তাবও পাঠায় বাড়িতে। কিন্তু অপ্রাপ্ত বয়স্ক এবং বখাটের সঙ্গে মেয়েকে বিয়ে দিতে রাজি না হওয়ায় জোরপূর্বক অপহরণ করা হয়। বর্তমানে মেয়েটির বয়স মাত্র ১৪ বছর। ওই মেয়ের মা দৈনিক আজাদীকে বলেন, ‘অপহরণের পর স্বজনদের মাধ্যমে হুমকি দেওয়া হয়েছে আমার মেয়ের সর্বনাশ ঘটিয়ে কয়েকদিনের মধ্যে বখাটে মোবারক বিদেশ পাড়ি দেবে। তাই পুলিশের কাছে আমার অনুরোধ দ্রুত আমার মেয়েকে উদ্ধার এবং বখাটে মোবারককে গ্রেপ্তার করে কঠিন শাস্তি নিশ্চিত করতে।’
এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার ওসি চন্দন কুমার চক্রবর্তী দৈনিক আজাদীকে বলেন, ‘কাকারায় নবম শ্রেণীতে পড়য়া শিক্ষার্থী অপহরণের ঘটনায় মামলা নেওয়া হয়েছে। এখন বখাটে মোবারককে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সে যাতে বিমানবন্দর হয়ে দেশ ত্যাগ করতে না পারে সেজন্য বার্তা প্রেরণ করা হবে।’