কক্সবাজারের চকরিয়ার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের অপরাধের স্বর্গরাজ্য খ্যাত সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ডুমখালী রিজার্ভপাড়ার বহুল আলোচিত কলিম উল্লাহকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করেন আদালত।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার কলিম উল্লাহ ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব ডুমখালীর ছগির আহমদের ছেলে। তার বিরুদ্ধে ৬টি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি ছিল। এছাড়াও সে ৬টি বন মামলা এবং চকরিয়া থানার তিনটি নিয়মিত মামলার আসামি।
এদিকে কলিম উল্লাহ গ্রেপ্তারের খবরে স্থানীয়দের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। তারা জানান, গত দুই বছরের বেশি সময় ধরে ডুমখালী রিজার্ভপাড়াটি সশস্ত্র ডাকাত–সন্ত্রাসীদের নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে। এসব ডাকাত–সন্ত্রাসী আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং বনবিভাগকে চ্যালেঞ্জ করে প্রতিনিয়ত বনের গাছ কেটে লুট, বনভূমি দখল করে বেচাকেনা, ডাকাতি, দস্যুতা, অপহরণ, ধর্ষণসহ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড সংঘটিত করে আসছিল।
গত ৮ মে দৈনিক আজাদীর প্রথম পাতায় ‘ডুলাহাজারার রিজার্ভ পাড়া খোদ বনবিভাগের মাথা ব্যাথার কারণ’ শীর্ষক সংবাদ প্রকাশ পায়। এর পর থেকে ডাকাত–সন্ত্রাসী–বনদস্যুদের ধরতে মাঠে তৎপর হয় পুলিশ। অবশেষে সেই সিন্ডিকেটের অন্যতম হোতা কলিম উল্লাহকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে।
ডুলাহাজারা বনবিট কর্মকর্তা অবনী কুমার রায় বলেন, সম্প্রতি প্রকাশ্যে বনের গাছ কেটে লুটের খবর পেয়ে অকুস্থলে গেলে বনবিভাগের কর্মীদের লক্ষ্য করে ব্যাপক গুলি ছুঁড়ে। এ সময় বনবিভাগও পাল্টা জবাব দেয়। এতে চার বনকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়। কলিম উল্লাহও সেই দলের অগ্রভাগে ছিল।
চকরিয়া থানার ওসি চন্দন কুমার চক্রবর্তী দৈনিক আজাদীকে বলেন, একে একে ডুলাহাজারা রিজার্ভপাড়াকে দস্যুমুক্ত করা হবে। যাতে রিজার্ভপাড়ার মানুষ শান্তিতে বসবাস করতে পারে। এজন্য এলাকাবাসীর সহায়তা কামনা করছি।












