কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ভেওলা মানিকচর (বিএমচর) ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম জাহাঙ্গীর আলমকে চেয়ারম্যান পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ ইউপি–১ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব জেসমিন প্রধান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি জানানো হয়। গত ১৭ জুলাই মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়। এতে উল্লেখ করা হয় নদীতে ড্রেজার বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের একটি মামলায় চার্জ গঠন ও মারামারির আরেক মামলা তার বিরুদ্ধে চলমান থাকার পরিপ্রেক্ষিতে এ বহিষ্কারাদেশ দেয়া হয়।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, ভেওলা মানিকচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের ৮ ডিসেম্বর বদরখালীর নৌ–ফাঁড়ি পুলিশ বাদী হয়ে কর্ণফুলীতে ড্রেজার বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগে চকরিয়া থানায় একটি মামলা করে। যা গত ২০২২ সালের ২৩ মার্চের আদেশে বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০–এর ১৫(১) ধারার অপরাধ হিসেবে আমলে নেওয়া হয়। অন্যদিকে চলতি বছরের ৩০ এপ্রিল মারামারির অপর মামলায় স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০১–এর ৩৪(১) ধারা অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করেন কঙবাজার জেলা প্রশাসক।
এতে আরো বলা হয়, চেয়ারম্যান এস এম জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে উল্লিখিত অভিযোগে তার দ্বারা ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষমতা প্রয়োগ প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণে সমীচিন নয় মর্মে সরকার মনে করে। তাই চেয়ারম্যান কর্তৃক সংঘটিত অপরাধমূলক কার্যক্রম ইউনিয়ন পরিষদসহ জনস্বার্থের পরিপন্থী বিবেচনায় স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯–এর ৩৪(১) ধারার অপরাধ সংঘটিত করায় জাহাঙ্গীর আলমকে স্বীয় পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। এই আদেশ যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে জনস্বার্থে জারি করা হলো এবং তা অবিলম্বে কার্যকর হবে।
চেয়ারম্যান এস এম জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশটির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেপি দেওয়ান। তিনি দৈনিক আজাদীকে বলেন, প্রজ্ঞাপনটি হাতে এসেছে। বিধি অনুযায়ী ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালনা করবেন ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত প্যানেল চেয়ারম্যান–১। সেই মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।












