চকরিয়া-পেকুয়ার বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি

স্রোতে ভেসে গিয়ে শিশুর মৃত্যু

চকরিয়া প্রতিনিধি | শনিবার , ২৪ আগস্ট, ২০২৪ at ১০:১০ পূর্বাহ্ণ

কয়েকদিনের অতি ভারী বর্ষণ ও পার্বত্য অববাহিকার মাতামুহুরী নদীতে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে কক্সবাজারের চকরিয়া ও পেকুয়ায় সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে শুরু করেছে। পানি ভাটির দিকে নেমে যাওয়ার পর ভেসে উঠছে ক্ষতচিহ্ন। চকরিয়া উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় অন্তত লক্ষাধিক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবারের বন্যায়। অন্যদিকে পেকুয়ার অনেক অঞ্চল বিশেষ করে টৈটং, শিলখালী ও বারবাকিয়ার সড়ক পথ ও বাড়িঘর উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বন্যায়।

এদিকে মাতামুহুরী নদীতে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানি দুই তীর উপচে লোকালয়ে প্রবেশ করার সময় বরইতলী ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পহরচাঁদা এলাকায় বানের পানির স্রোতে ভেসে যায় তিন শিশু। গতকাল শুক্রবার সকালে ভেসে যাওয়া এই তিন শিশুর মধ্যে দুইজন প্রাণে বাঁচলেও এক শিশু মারা যায়। মারা যাওয়া শিশুর নাম মোহাম্মদ হাবিব (১৩)। সে ওই এলাকার মো. জসীম উদ্দিনের পুত্র।

বরইতলী ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবদুস শুক্কুর বলেন, শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে তিন শিশু একসাথে বাড়ি থেকে বের হয়ে পহরচাঁদা বাজারের দিকে যাচ্ছিল। এ সময় সড়কের উপর দিয়ে যাওয়া বানের পানির স্রোতে ভেসে যায় তিন শিশু। দুই শিশু সাঁতরিয়ে বেঁচে গেলেও হাবিব স্রোতে তলিয়ে গিয়ে পানিতে ডুবে মারা যায়।

চকরিয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আবু হাসনাত সরকার বলেন, উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মাঝে বিতরণের জন্য ২০ মেট্রিক টন জিআর চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। এসব চাল ইতোমধ্যে স্ব স্ব ইউনিয়নে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে বিতরণের জন্য।

সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি প্রসঙ্গে ইউএনও বলেন, শুক্রবার সকাল থেকে বৃষ্টিপাত কমে আসায় এবং উপকূলীয় এলাকার স্লুইস গেটগুলো খুলে দেওয়ায় পানি ভাটির দিকে নেমে যাচ্ছে। এতে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধফটিকছড়ি ও হাটহাজারীতে গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত, সাড়ে তিন লাখ মানুষ পানিবন্দী
পরবর্তী নিবন্ধচকরিয়ায় পাহাড়ি এলাকায় ভয়াবহ ভূমিধস, ২০ বসতবাড়ি বিলীন