কক্সবাজারের চকরিয়ায় ছাত্রদল নেতা মিজানুর রহমান হত্যা মামলায় চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক দুই চেয়ারম্যানকে পুলিশ হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল বুধবার দুপুরে চকরিয়া উপজেলা জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রিমান্ড আবেদন করলে আসামিদের উপস্থিতিতে আদালত রিমান্ড মঞ্জুর করেন। দুই আসামি হলেন চকরিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা ফজলুল করিম সাঈদী এবং পেকুয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও পেকুয়া যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই জাকির হোসেন জানান, ২০১৩ সালের ২৫ অক্টোবর বিকেলে কেন্দ্রীয় বিএনপির ডাকা সারাদেশের কর্মসূচি পালন করার জন্য কাকারা ইউনিয়ন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠন মিছিল বের করে। মিছিলে ছাত্রদল কর্মী মিজানুর রহমানও ছিলেন। ওইসময় গুলিতে নিহত হন ছাত্রদল নেতা মিজানুর রহমান। এ ঘটনায় ছাত্রদল নেতা মিজানের বাবা শাহ আলম বাদী হয়ে চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীসহ ১৮২ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলায় ফজলুল করিম সাঈদী এজাহারনামীয় ১৪ নম্বর আসামি। তাকে গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর ফেনী থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
অপরদিকে পেকুয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমকে সন্দেহভাজন হিসেবে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। জাহাঙ্গীর আলমকে পেকুয়ার শিক্ষক মো. আরিফ হত্যা মামলায় আসামি হিসেবে গত বছরের ১৩ অক্টোবর চট্টগ্রামের একটি বাসা থেকে র্যাব গ্রেপ্তার করে।
চকরিয়া থানার ওসি মো. মনজুর কাদের ভূঁইয়া বলেন, কাকারা ইউনিয়নের পুলেরছড়া এলাকায় মিছিলে গুলি করে ছাত্রদল নেতা মিজানুর রহমানকে হত্যা মামলায় এজাহারনামীয় আসামি ফজলুল করিম সাঈদী এবং জাহাঙ্গীর আলমকে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফয়জুল কবির বলেন, কথিত হত্যা মামলায় দুই উপজেলার সাবেক দুই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করে তদন্তকারী কর্মকর্তা। আমরা রিমান্ডের বিরোধিতা করি শুনানির সময়। এ সময় আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।