চকরিয়া ও পেকুয়ায় পানিবন্দি ৫০ হাজার মানুষ

চকরিয়া প্রতিনিধি | শুক্রবার , ২৩ আগস্ট, ২০২৪ at ১০:৫৩ পূর্বাহ্ণ

থেমে থেমে কয়েকদিনের বৃষ্টিপাতে মাতামুহুরী নদীতে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে কক্সবাজারের চকরিয়া ও পেকুয়ার ১৫টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে অন্তত ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এদিকে চকরিয়ার হারবাংয়ে অতি ভারি বর্ষণের সময় পাহাড়ি এলাকায় অন্তত ১৫টি বসতবাড়ি ধসে পড়েছে। তবে এতে হতাহতের কোন খবর পাওয়া যায়নি। এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টির কারণে মাতামুহুরী নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ায় এলাকার লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিতে উপজেলা প্রশাসন থেকে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানদেরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া পাহাড়ের ঢালুতে অবস্থান করা লোকজনকে সরিয়ে যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সরেজমিন দেখা যায়, লক্ষ্যারচর ইউনিয়নের নলবিলা এলাকায় বন্যার পানিতে শতাধিক ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে যায়। এতে বয়স্ক, শিশু ও নারীরা বিপাকে পড়েছেন। কাছে সাইক্লোন শেল্টার ও স্থানীয় লোকজনের বিল্ডিংয়ে অনেককে আশ্রয় নিতে দেখা গেছে।

বরইতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ছালেকুজ্জামান বলেন, পহরচাঁদা এলাকায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ওই এলাকার নিজ তহবিল থেকে সাধ্যমত শুকনো খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। এছাড়া উপকূলীয় এলাকার পাঁচ ইউনিয়ন সাহারবিল, বদরখালী, কোনাখালী, পশ্চিম বড় ভেওলা ও ঢেমুশিয়া এলাকায় পানি নিষ্কাশনে জলমহালের স্লুইসগেট খুলে দেওয়া হয়েছে। এসব এলাকায় মৎস্যঘের, ধানক্ষেত ও সবজি ক্ষেত পানির নিচে তলিয়ে গেছে। অপরদিকে পেকুয়া উপজেলার টৈটং, উজানটিয়া ও রাজাখালী, শিলখালী ও পেকুয়া সদর ইউনিয়নের মেহেরনামা এলাকায় অধিকাংশ এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। এতে অন্তত ১০ হাজার লোক পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণের জন্য একটি চাহিদাপত্র জেলা প্রশাসক বরাবর পাঠানো হয়েছে। এসব পণ্য হাতে এলে দুর্গত এলাকায় বিতরণ করা হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসাউদার্ন ভার্সিটির ‘ল’ এলামনাই এসো’র নির্বাচন উপলক্ষে কমিশন গঠন
পরবর্তী নিবন্ধআল-আরাফাহ্‌ ইসলামী ব্যাংকের বার্ষিক সাধারণ সভা