চকরিয়ায় স্ত্রীকে হত্যা : স্বামী মেহেদী হাসান লামায় গ্রেফতার

লামা প্রতিনিধি | শুক্রবার , ১৭ জানুয়ারি, ২০২৫ at ১১:৫৩ অপরাহ্ণ

কক্সবাজারের চকরিয়ায় বিয়ের ৮ মাসের মাথায় ছুরিকাঘাতে স্ত্রীকে খুন করে পালিয়ে যাওয়া ঘাতক স্বামীকে বান্দরবানের লামা থেকে পুলিশ আটক করেছে বলে জানা গেছে।

ঘটনার পরপরই নিহত উম্মে হাফসা আর ঘাতক মেহেদীর একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। উক্ত ছবি দেখে ঘাতক মেহেদী হাসানকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় কুমারী পুলিশ।

আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে ক্যাম্পের অফিসার ইনচার্জ জামিল আহমেদ বলেন, আসামিকে লামা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

এর আগে শুক্রবার বেলা একটার পর জুমার নামাজ চলাকালে চকরিয়া পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড মজিদিয়া মাদ্রাসা পাড়ার সংবাদকর্মী আবদুল হামিদের বাড়িতে ঘাতক স্বামীর হাতে খুনের শিকার হন স্ত্রীর নাম উম্মে হাফসা তুহি (১৮)। এ সময় গুরুতর আহত হন শ্বাশুড়ির নাম পারভীন আক্তার (৪২)। তারা সংবাদকর্মী আবদুল হামিদের কন্যা ও স্ত্রী।

সংবাদকর্মী আবদুল হামিদ জানান, গত ৮ মাস আগে তাঁর মেয়েকে জোরপূর্বক অপহরণ করে নিয়ে যায় বখাটে মেহেদী। এনিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। এর জের ধরে মেয়েকে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন নির্যাতন করতো। নির্যাতনের বিষয়টি মেয়ে তাকে জানালে গত বছরের ডিসেম্বর মাসের ৫ তারিখ মেয়ে তুহিকে বাড়িতে নিয়ে আসেন।

আবদুল হামিদ আরও জানান- বৃহস্পতিবার স্বামী মেহেদী তাদের (শ্বশুর) বাড়িতে আসে। শুক্রবার সকালে তুহিকে স্বামী শ্বশুর বাড়িতে নিয়ে যেতে চাইলে তারা বাঁধা দেন। তখন জামাতাকে জানিয়ে দেওয়া হয় অভিভাবক এবং আত্মীয়-স্বজনেরা আসলে তাদের সাথে কথা বলেই মেয়েকে পাঠানো হবে। এতে রেগে গিয়ে জামাতা মেহেদী বাড়ি থেকে বের হয়ে যান।

আবদুল হামিদ বলেন- এরই মধ্যে জুমার নামাজের সময় ঘনিয়ে আসলে তিঁনি মসজিদে চলে যান। এ সুযোগ জামাতা বাড়িতে ঢুকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে মেয়েকে। এ সময় বাঁধা দিতে চাইলে শ্বাশুড়িকেও ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। এর পর জুমার নামাজ শেষে বাড়িতে এসেই এই কাণ্ড দেখতে পান তিনি। পরে তাদের দ্রুত উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক মেয়ে তুহিকে মৃত ঘোষণা করেন। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে স্ত্রী পারভীনকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মঞ্জুর কাদের ভুইয়া বলেন, ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় লাশ উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

আহত পারভীন আক্তারকে চমেক হাসপতালে পাঠানো হয়েছে। ঘাতক বখাটে স্বামী মেহেদীকে বান্দরবানের লামার পাহাড়ি এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে আটক করা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত এজাহার প্রাপ্তি সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকর্ণফুলীতে নোঙ্গর করা জাহাজের সাথে বে-ওয়ানের সংঘর্ষ
পরবর্তী নিবন্ধআন্ত-ডাকপাড়া ফুটবল টুর্ণামেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত