চকরিয়ায় যাত্রীবাহী বাস খাদে, ২ যুবক নিহত

পৃথক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল মাদরাসা শিক্ষকের

চকরিয়া প্রতিনিধি | শনিবার , ৫ জুলাই, ২০২৫ at ৪:৩৭ পূর্বাহ্ণ

কক্সবাজারের চকরিয়ায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন যাত্রী। তদ্মধ্যে মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গড়াগড়ি খেয়ে সড়ক থেকে পাশের গভীর খাদে পড়ে উল্টে যায়। এতে বাসটির উপর অংশ পানিতে তলিয়ে গেলে সেখানে চাপা পড়েন কয়েকজন যাত্রী। পরে উদ্ধারকারীরা বাসের নিচ থেকে দুইজনের লাশ উদ্ধার করে। এ সময় জীবিত উদ্ধার করা হয় ৬ জনকে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে চট্টগ্রামকক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়ার হারবাং ইউনিয়নের উত্তর হারবাং গয়াল মারা এলাকায় হানিফ পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাস দুর্ঘটনায় পতিত হলে গাড়ি থেকে অনেক যাত্রী লাফ দিয়ে এবং বিভিন্ন কৌশলে বেরিয়ে পড়ে। এসব যাত্রী আহত হলেও তাদের ক্ষত তেমন গুরুতর না হওয়ায় যে যার মতো গন্তব্যে ফিরে যায়। তবে খাদে পড়া বাসের নিচে বেশ কয়েকজন যাত্রী আটকা পড়ার খবরে সেনাবাহিনী, চিরিঙ্গা হাইওয়ে থানা পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসের কর্মী এবং স্থানীয় জনতা উদ্ধারে তৎপরতা শুরু করে। এতে একে একে ৬ জন যাত্রী জীবিত উদ্ধার হলেও মরদেহ উদ্ধার হয় ২ জনের। নিহত দুইজনের মধ্যে একজনের বাড়ি নোয়াখালী সদরের সুধারাম থানা এলাকায়। তার নাম শেখ এনামুল হক (১৯)। তিনি আশরাফুল হকের পুত্র। অপরজন মোহাম্মদ ফারুকের (২৫) বাড়ি কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং এলাকায়। তিনি স্থানীয় আবদুস সালামের পুত্র।

মহাসড়কের বানিয়ারছড়াস্থ চিরিঙ্গা হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আরিফুল আমিন জানান, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনায় পতিত হওয়া হানিফ পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসটি ক্রেন দিয়ে উদ্ধারের পর জব্দ করা হয়েছে। প্রাথমিক পরিচয় শনাক্ত হওয়ার পর নিহত দুইজনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এদিকে পেকুয়ার ভাড়া বাসা থেকে সিএনজি টেক্সিতে করে নিজ বাড়ি কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলায় যাওয়ার সময় চকরিয়ার বরইতলী ইউনিয়নের বুড়ির দোকান নামক স্থানে বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে স্ত্রীসন্তানসহ এক মাদরাসা শিক্ষক মর্মান্তিক দুর্ঘটনার শিকার হন। এ সময় তাদের বহনকারী সিএনজিটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ডাম্পারের সঙ্গে সজোরে ধাক্কা খায়। এতে অটোর ভেতরে থাকা মাদরাসা শিক্ষক আবদুল মান্নান (৪৫), স্ত্রী আরশী আক্তার (২৭) ও শিশুপুত্র শিহাম () গুরুতর আহত হন। এ সময় তাদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিক্ষক আবদুল মান্নান ভোররাতে মারা যান।

আত্মীয়রা জানান, নিহত আবদুল মান্নান পেকুয়ার উজানটিয়া ইউনিয়নের এ এস আলিম মাদরাসার সিনিয়র শিক্ষক ছিলেন। চাকরির কারণে তিনি পেকুয়া সদর ইউনিয়নের ভোলাইয়া ঘোনা এলাকায় সপরিবারে ভাড়া বাসায় থাকতেন। তার বাড়ি ঈদগাঁও উপজেলার চৌফলদন্ডির মাইজপাড়ায়।

বানৌজা সাবমেরিন ঘাঁটি সড়কের চকরিয়ার বরইতলীর বুড়ির দোকান এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায়ও একজন নিহত এবং দুইজন আহত হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছে চকরিয়া থানার নিয়ন্ত্রণাধীন হারবাং ফাঁড়ির পুলিশ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআয়ের প্রাপ্য ভাগ পাচ্ছে না চসিক
পরবর্তী নিবন্ধমেঘনা পেট্রোলিয়ামের কর্মকর্তাকে ধরে পুলিশে দিল ছাত্র-জনতা