দোকান দেওয়ার জন্য কৃষক বাবার কাছ থেকে নগদ এক লাখ টাকা দাবি করেছিল মোবাইল মেকানিক ছেলে শফিকুল ইসলাম (২৩)। বাবা-মা সেই দাবি পূরণ করতে না পারায় অভিমানে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঈদের দিন আত্মহত্যা করে বসে সে নিজেই।
শনিবার পবিত্র ঈদুল আজহার দিন বিকেলে চকরিয়া পৌরসভার সবুজবাগ আবাসিক এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মারা যাওয়া শফিকুল ইসলাম উপজেলার সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদ ইসমাঈলের ছেলে এবং পেশায় একজন মোবাইল মেকানিক বলে জানা গেছে।
পরিবারের বরাত দিয়ে সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের অব্যাহতিপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আজিমুল হক আজিম জানান, শফিকুল ইসলাম মাসুদ পৌরশহরের সবুজবাগ মিয়াজি ভবনের দ্বিতীয় তলায় এক বন্ধুর বাসায় অবস্থান করে মোবাইলের দোকানে মেকানিকের কাজ করতো। বেশ কিছুদিন ধরে শফিকুল চকরিয়া পৌরশহরে নিজে দোকান দেওয়ার জন্য পরিবার থেকে এক লাখ টাকা চায়। টাকা না দিলে সে আত্মহত্যা করবে বলেও পরিবারকে ভয় দেখায়।
চকরিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ ইয়াছিন মিয়া বলেন, পৌরসভার সবুজবাগ আবাসিক এলাকার মিয়াজী ভবনের দ্বিতীয় তলার একটি ফ্লাটের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ ছিল। পরে দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে শফিকুল ইসলাম নামের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এটি আত্মাহত্যা বলে ধারণা করছে পুলিশ। এই ঘটনায় পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে পুলিশ।
এদিকে পরিবারের আর্থিক অবস্থা দুর্বল হওয়ায় এবং মাসুদের কৃষক বাবার পক্ষে এক লাখ টাকা যোগাড় করে দিতে সময় ক্ষেপণ হওয়ায় অভিমান করে আত্মহত্যা করেছে বলে মাসুদের নিকটাত্মীয়রা ধারণা করছেন।
