চকরিয়ায় পাহাড়ি এলাকায় ভয়াবহ ভূমিধস, ২০ বসতবাড়ি বিলীন

চকরিয়া প্রতিনিধি | শনিবার , ২৪ আগস্ট, ২০২৪ at ১০:১০ পূর্বাহ্ণ

টানা ভারী বর্ষণের ফলে চকরিয়ার হারবাংয়ে দফায় দফায় ভয়াবহ ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ২০টি বসতবাড়ি বিলিন হয়ে গেছে। বর্তমানে এসব পরিবারের সদস্যরা খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের পাহাড়ি জনপদ গাইনা কাটা গ্রামে গত দুইদিন ধরে দফায় দফায় এই ভূমিধসের ঘটনা ঘটে।

হারবাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মেহরাজ উদ্দিন মিরাজ জানান, গত কয়েকদিনের ভারী বর্ষণ ও হারবাং ছড়া দিয়ে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে গ্রামীণ অবকাঠামো ভেঙে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। দফায় দফায় ভয়াবহ ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে ইউনিয়নের পাহাড়ি এলাকা গাইনাকাটা গ্রামে। এসময় অন্তত ২০টি বসতবাড়ি সম্পূর্ণ মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। বিভিন্ন স্থানে বিশাল বিশাল পাহাড়ও ধসে পড়েছে অতি ভারী বর্ষণের সময়। বর্তমানে বসতবাড়ি হারিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে। লিখিতভাবে এসব বিষয় উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে।

গাইনাকাটা গ্রামের বাসিন্দা জিয়াবুল করিম জানান, গত চারদিন ধরে অনবরত ভারী বর্ষণ হয়। দুইদিন বর্ষণের পর আকস্মিক ভূমিধসের ঘটনা শুরু হয়। এতে দফায় দফায় ভয়াবহ ভূমিধসে বিলিন হয়ে যায় অন্তত ২০টি বসতবাড়ি। এছাড়াও গাইনাকাটা গ্রামের কয়েকটি বড় পাহাড়ও মুহূর্তের মধ্যে মাটির সঙ্গে বিলিন হয়ে পড়ে। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে পুরো পাড়ায়।

ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর সদস্যরা জানান, ভয়াবহ এই দুর্যোগের শিকার হওয়া পরিবারগুলো বর্তমানে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছে। তাদেরকে সরকারিভাবে আর্থিক সহায়তা দেওয়া না হলে নতুন করে বসতি স্থাপন করা যাবে না। তাই এই বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।

চকরিয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আবু হাসনাত সরকার বলেন, অতি ভারী বর্ষণের সময় হারবাংয়ের গাইনাকাটা গ্রামে ভয়াবহ ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর সদস্যদের মাঝে শুকনো খাবার, কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছ থেকে লিখিতভাবে তালিকা পাওয়া গেছে ক্ষতিগ্রস্তদের। তাদেরকে পুনর্বাসনে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

এ ব্যাপারে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর তালিকা নেওয়া হয়েছে। এসব পরিবার যাতে নতুন করে বসতি স্থাপন করতে পারে সেজন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্মাণসামগ্রী ও আনুষঙ্গিক ব্যয় সরবরাহ দেওয়া হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচকরিয়া-পেকুয়ার বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি
পরবর্তী নিবন্ধমীরসরাইয়ে ১০ হাজার মানুষ বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে