কক্সবাজার–১ আসনের সংসদ সদস্য পদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমদ সিআইপি ও সাহারবিল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নবী হোছাইন চৌধুরীর লোকজনের মধ্যে দফায় দফায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষে অন্তত ১০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পুলিশ, র্যাব টহল ব্যবস্থা জোরদার করে। উভয়পক্ষে হামলায় আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল বুধবার বেলা দুইটার দিকে উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নের রামপুর স্টেশন এলাকায় প্রথম হামলার ঘটনাটি ঘটে। এরপর সন্ধ্যার দিকেও দফায় দফায় হামলার ঘটনার খবর পাওয়া যায়। প্রথমদফা হামলার সময় একাধিক গাড়ি ভাঙচুরের তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানো হলেও সেই তথ্যের সত্যতা পাওয়া যায়নি। পুলিশও জানিয়েছে, গাড়ি ভাঙচুরের কোনো ঘটনা ঘটে না।
হামলায় আহতরা হলেন, আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনীত প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমদ সিআইপি পক্ষের সাহারবিল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউনিয়ন পরিষদের চার নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য এনামুল হক, সাত নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহমুদুল হক ও ছয় নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কর্মী জসীম উদ্দিন। এ সময় আরও কয়েকজন আহত হয়েছে বলে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষে দাবি করা হয়েছে।
অপরদিকে সাহারবিল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নবী হোছাইন চৌধুরী এবং তাঁর পক্ষে আহতরা হলেন, মোহাম্মদ আইয়ুব, মো. কাইছার, সাজ্জাদ হোসেন, বাবুল, শাহেদসহ বেশ কয়েকজন।
আহত আওয়ামী লীগ নেতা এনামুল হকের দাবি– রামপুর স্টেশনে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জড়ো হচ্ছিলেন দলের প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমদের শোকরানা সভায় যোগ দিতে। এ সময় সাহারবিল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নবী হোছাইনের নেতৃত্বে তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়। এতে তিনিসহ দলের বেশ কয়েকজন কর্মী আহত হন।
চেয়ারম্যান নবী হোছাইন বর্তমান সংসদ সদস্য ও আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী জাফর আলমের অনুসারী। তিনি তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক পোস্টে লেখেন, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আওয়ামী লীগ নেতা ছরওয়ার, মহসিন বাবুল ও এনামের নেতৃত্বে তাঁর (চেয়ারম্যান) এবং সাধারণ মানুষের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে তিনিসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
চেয়ারম্যান নবী হোছাইন আরো জানান, প্রথম ঘটনার জের ধরে পরিকল্পিতভাবে দ্বিতীয় দফায় একাধিক বসতবাড়ি ও একটি দোকানে অতর্কিত হামলা ও লুটপাট চালানো হয়। বিষয়টি জানানোর পর তাৎক্ষণিক পুলিশ ও র্যাবের টহল টিম উপস্থিত হলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
এই বিষয়ে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশ ও র্যাবের টহল দল ঘটনাস্থলে যায়। বর্তমানে পরিস্থিতি আইনশৃক্সখলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সংঘর্ষের সময় কয়েকজন আহত হয়েছে বলে শুনেছি। এই ব্যাপারে পরে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।