নকল টিপসই, নকল স্বাক্ষরসহ বানোয়াট কাগজপত্র দিয়ে অন্যের জমি হাতিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে জাল দলিল তৈরির দায়ে কক্সবাজারের চকরিয়া সাব রেজিস্ট্রি অফিসের দুই দলিল লেখকসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ফরেনসিক প্রতিবেদনসহ সংস্থাটির দীর্ঘ তদন্ত শেষে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের পর শুনানি শেষে উপজেলা জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালত জালিয়াতচক্রের এই পাঁচ সদস্যের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আজ সোমবার।
আদালত সূত্র জানায়- প্রতারণা ও জালিয়াতের দায়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয় জাল দলিল তৈরির মূল হোতা চকরিয়া সাব রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক ফরিদুল ইসলাম, আবদুল হামিদ, জাবেদ আমিন, মানিকপুর এলাকার লামং রাখাইন ও উপচিং রাখাইনের নামে।
চকরিয়া বিচারিক হাকিম আদালতের আইনজীবী মিফতাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, চকরিয়া সাব রেজিস্ট্রি অফিসে দীর্ঘদিন ধরে একটি প্রতারকচক্র জাল দলিল তৈরি করে নিরীহ কিছু মানুষের ভূ-সম্পত্তি হাতিয়ে আসছেন। এমন একটা জাল দলিল শনাক্ত হলে ২০২৩ সালের ১৭ অক্টোবর দলিল লেখক কাজল বড়ুয়া বাদী হয়ে উক্ত দলিলের গ্রহীতা লামং রাখাইন ও উপছিং রাখাইনের বিরুদ্ধে আদালতে নালিশী মামলা করেন।
আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সিআইডি-কক্সবাজারকে নির্দেশ দেন। দীর্ঘ তদন্ত কার্যক্রম শেষে এবং ফরেনসিক প্রতিবেদনসহ জাল দলিল সৃজনের ঘটনায় পাঁচজনের সম্পৃক্ততা রয়েছে মর্মে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা হাফিজ আল-আসাদ। সেই প্রতিবেদনের ওপর শুনানি শেষে আদালতের বিচারক প্রবাল চক্রবর্তী আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
চকরিয়া দলিল লেখক সমিতির সভাপতি জাকির হোসেন ও সম্পাদক শরিফুল ইসলাম জানান, মানুষের ভূ-সম্পদ কেড়ে নিতে যারা জাল দলিল তৈরির সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
চকরিয়ার সাব রেজিস্ট্রিার আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘যারা জাল দলিল তৈরি করে মানুষের সাথে প্রতারণা করে তারা দেশ ও জাতির শত্রু। শনাক্ত হওয়া ওই প্রতারক চক্রের সদস্যদের অতি দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।’