কক্সবাজারের চকরিয়া থানার ৪৮ ঘণ্টার অভিযানে নাশকতা সৃষ্টিকারী, মাদক কারবারি, অবৈধ অস্ত্রধারী ও একাধিক ডাকাতসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে সাতজনকে। এ সময় উদ্ধার করা হয়েছে দেশে তৈরি একটি এলজি ও এক রাউন্ড গুলি। এছাড়াও উদ্ধার করা হয়েছে ১ হাজার ৯৩০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট এবং চুরি হওয়া একটি ইজিবাইক (টমটম) উদ্ধার করা হয়। অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে সার্বিক সহায়তায় ছিল সেনাবাহিনীর একটি চৌকস দল।
চকরিয়া থানা পুলিশের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, অপারেশন ডেভিল হান্টের অধীনে চকরিয়া পৌরশহরের চিরিঙ্গার বিভিন্ন স্থানে এবং হারবাং ইউনিয়নের কাটাখালী এলাকায় পৃথক এসব অভিযান পরিচালনা করা হয়। সেনাবাহিনীর সহায়তায় পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন কর্ণফুলী উপজেলার মইজ্জারটেক এলাকার মৃত মনু মিয়ার ছেলে মো. তৈয়ব (২৬), নগরীর বাকলিয়া থানার রাহাত্তারপুল এলাকার মো. রফিকের ছেলে মো. নাজিম, কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের মাস্টার পাড়ার আবু শামার ছেলে মো. শফিউল আলম (২৪), চকরিয়া পৌরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের ভরামুহুরী এলাকার খায়ের নূর ওরফে হাবিব নুরের ছেলে মো. রিফাত (২০)। তম্মধ্যে তৈয়ব ও নাজিমের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে ও গ্রেপ্তার শফিউলের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু করা হয়। এছাড়াও রিফাতকে নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
অপরদিকে এক অভিযানে গ্রেপ্তার করা হয় সম্প্রতি হারবাংয়ের কাটাখালীতে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত দুর্ধর্ষ তিন ডাকাতকে। তারা হলেন বরইতলী ইউনিয়নের হাফালিয়া কাটাস্থ মুড়ার পাড়ার নুরু সওদাগরের ছেলে আবুল বশর প্রকাশ লালাইয়া (২৮), মৃত মোস্তাক আহমদের ছেলে আহমদ হোছাইন (৩৫) ও আনোয়ার হোসেনের ছেলে মো. ইসমাইল (৩৫)।
চকরিয়া থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলাম জানান, এলাকায় অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড রোধকল্পে ও অবৈধ অস্ত্রধারী, সন্ত্রাসী ও ডাকাত গ্রেপ্তার তথা ডেভিল হান্ট অপারেশনের আওতায় ৪৮ ঘণ্টার বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে সেনাবাহিনীও সহায়তা দেয় পুলিশকে। বিশেষ এই অভিযানে গুলিসহ আগ্নেয়াস্ত্র, ইয়াবা এবং চুরি হওয়া ইজিবাইক উদ্ধার করা হয়। বিভিন্ন অপরাধের দায়ে গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা রুজুসহ তাদের আদালতে উপস্থাপন করা হলে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।