চকরিয়ায় মহাসড়কে ব্যারিকেড দিয়ে ডাকাতি করা বিভিন্ন সাইজের ১৮টি মহিষের মধ্যে দুই দফায় ১১টি মহিষ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার সন্ধ্যার দিকে দ্বিতীয় দফায় ৮টি ছোট–বড় মহিষ উদ্ধার করে পুলিশ। তন্মধ্যে ডুলাহাজারার উলুবুনিয়া থেকে একটি ও ডাকাতের আস্তানা সংরক্ষিত বনের ডুমখালী থেকে সাতটি মহিষ উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি ডুলাহাজারা এলাকা থেকে প্রথম দফায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ উদ্ধার করে আরও তিনটি মহিষ।
চকরিয়া থানার উপ–পরিদর্শক (এসআই) মো. কামরুল ইসলাম জানান, আনোয়ারা উপজেলার বরুমছড়া এলাকার ব্যবসায়ী আবদু রহিম গত ৭ ফেব্রুয়ারি উখিয়া থেকে ১৮টি মহিষ ক্রয় করে ট্রাকভর্তি করে আনোয়ারার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। পথিমধ্যে রাত পৌনে দশটার দিকে মহিষবোঝাই ট্রাকটির গতিরোধ করা হয় ডুলাহাজারার ডুমখালী রাস্তার মাথায়। এ সময় সশস্ত্র দুর্বৃত্তরা ১৮টি মহিষ, ৭টি মোবাইল ও নগদ ৭৫ হাজার টাকা লুট করে। এই ঘটনায় পরদিন ৮ ফেব্রুয়ারি থানায় মামলা রুজু করে মহিষ মালিক আবদু রহিম। এই ঘটনায় ওইদিন ৩টি মহিষসহ একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, বাকী মহিষগুলো উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। দুইদফার অভিযানে উদ্ধার হওয়া ১১টি মহিষ আদালতের মাধ্যমে মালিকের কাছে হস্তান্তর করা হবে।