কক্সবাজারের চকরিয়ায় জায়গার বিরোধ নিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনার পর প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারিয়েছেন আরিফুল ইসলাম (৪৮) নামের এক জামায়াত নেতা। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের হাছিমার কাটাস্থ সিকদার পাড়ায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত আরিফ সিকদার পাড়ার আলতাফ আহমদ চৌধুরীর পুত্র। তিনি কৈয়ারবিল ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের বায়তুল মাল সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সিকদার পরিবারে ভূ–সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে প্রতিনিয়তই ঝগড়া–বিবাদ লেগে থাকতো পরিবারগুলোতে। তারই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার জায়গা নিয়ে সকাল থেকে চরম উত্তেজনার মধ্যে প্রতিপক্ষ রাজু মিয়া বৈদ্যের ছেলে সাজ্জাদুল ইসলাম সুজন ধারালো ছুরি দিয়ে শরীরের একাধিক স্থানে উপর্যুপরি আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান আরিফুল ইসলাম। এ সময় তাকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে ছুরিকাঘাত করা হয় জেঠাতো ভাই খায়রুল আলমকেও (৪০)। এতে তিনিও গুরুতর আহত হন। তাকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কৈয়ারবিল ইউনিয়ন পরিষদের স্থানীয় মেম্বার রিদুয়ানুল হক জানান, জায়গা নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধের জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে চকরিয়া থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়।
এদিকে ঘটনার পর থেকে পালিয়ে একটি বাড়িতে আত্মগোপনে চলে যান ঘাতক সাজ্জাদুল ইসলাম সুজন। তবে তাকে ধরতে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ওই বাড়ি ঘিরে রাখে। কিছুক্ষণ পর তাকে আটক করতে সক্ষম হয় আইন–শৃক্সখলা বাহিনী। এই তথ্য জানিয়েছে চকরিয়া থানা পুলিশ।
এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। নিহতের লাশ জিম্মায় নিয়ে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এই ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ প্রাপ্তিসাপেক্ষে ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। ইতোমধ্যে খুনি সাজ্জাদুল ইসলাম সুজনকে আটক করা হয়েছে।