চকরিয়ার উপকূলীয় বদরখালীতে মহেশখালীর কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় মামলা রুজু হয়েছে থানায়। ঘটনার তিনদিন পর গতকাল বুধবার ওই কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে ৬ জনকে অভিযুক্ত করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ধারায় এই মামলা রুজু করা হয়।
আসামিরা হলেন– বদরখালী ইউনিয়নের বাজার পাড়ার জিয়াবুল হকের ছেলে মো. তাজুম ওরফে তাজুল (২২), মগনামা পাড়ার আবু ছালেকের ছেলে অমিত হাসান (২৫), গোলাম কাদেরের ছেলে তারেক জিয়া (২১), কলেজ পাড়ার মো. ইছহাকের ছেলে মো. কাজল (২৩), বদরখালীর টুটিয়াখালী পাড়ার বশির আহমদের ছেলে মো. ছোটন (২৩), মো. ফারুক (২৪) নামের অপর এক ব্যক্তি।
এর আগে আলোচিত এই ঘটনার পর পুলিশের ব্যাপক তৎপরতা শুরু হয়। ঘটনার ৪৮ ঘণ্টা না যেতেই চকরিয়া ও মহেশখালীর বিভিন্ন স্থানে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে আত্মগোপনে থাকা সন্দেহভাজন ৮ জনকে আটক করতে সমর্থ হয়। এর মধ্যে এজাহারনামীয় আসামি রয়েছেন ৪ জন, বাকি দুইজন পলাতক রয়েছে।
এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মঞ্জুর কাদের ভূঁইয়া বলেন, ঘটনার পরপরই মহেশখালী ও বদরখালীর একাধিক স্থানে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে সন্দেহভাজন ৮ জনকে আটক করা হয়। তদ্মধ্যে সরাসরি ধর্ষণে জড়িত চারজনসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে এজাহার জমা দিলে তা মামলা হিসেবে রুজু করা হয়। সন্দিগ্ধ হিসেবে আটক অন্যদের বিরুদ্ধে ঘটনায় জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া না গেলে আইনানুগভাবে ছেড়ে দেয়ার ব্যবস্থা নেয়া হবে। এজাহারনামীয় অপর দুই পলাতক আসামি ছোটন ও ফারুককে ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।