ঈদ উপলক্ষে দেওয়া বিশেষ ট্রেন চট্টলা এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন ও দুটি বগি লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে চকরিয়ার ডুলাহাজারা স্টেশনের কাছে। গতকাল বুধবার সকাল ১০টার দিকে এই দুর্ঘটনার পর কার্যত সারাদিন ট্রেন চলাচল বন্ধই ছিল চট্টগ্রাম–কক্সবাজার রুটে। তবে দুর্ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি বলে জানা গেছে।
রেল কর্তৃপক্ষ দুর্ঘটনার পর থেকেই লাইনচ্যুত ইঞ্জিন ও দুই বগি সরিয়ে নেওয়াসহ কী কারণে লাইনচ্যুতি ঘটেছে তা বের করার প্রয়োজনীয় তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। গতকাল বিকেলে সাড়ে চারটার দিকে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এই রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধই ছিল। ডুলাহাজারা স্টেশন মাস্টার আবদুল মান্নান চৌধুরী জানিয়েছেন, দুর্ঘটনায় পতিত বিশেষ ট্রেন চট্টলা এক্সপ্রেসের লাইনচ্যুত ইঞ্জিন ও দুটি বগি সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে। হয়তো সন্ধ্যা পর্যন্ত লেগে যেতে পারে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হতে।
কী কারণে এই দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়েছে, এমন প্রশ্নে চট্টলা এক্সপ্রেসের চালক মো. ওয়ালি উল্লাহ দৈনিক আজাদীকে বলেন, চট্টগ্রাম–কক্সবাজার রুটের এই রেললাইনের ডুলাহাজারা স্টেশনের আগে ‘রুফলাইন পয়েন্টে’ সমস্যা দেখা দিয়েছে। আর সেই সমস্যা সমাধানে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করায় বিট থেকে আংশিক সরে যায়। তিনি বলেন, রেল লাইনের রুফলাইন পয়েন্টে সমস্যা দেখা দিলে সংকেত হিসেবে সেই স্থানে লাল পতাকা উঁচিয়ে দেওয়া হয়। আর সেই সংকেত দেখা না যাওয়ায় ডুলাহাজারা স্টেশনে প্রবেশের আগে ট্রেনের স্বাভাবিক গতি ছিল। তখনই ইঞ্জিন ও দুটি বগি লাইনচ্যুতির ঘটনা ঘটেছে।
বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে কক্সবাজার আইকনিক রেল স্টেশন মাস্টার গোলাম রাব্বানী জানান, ঈদ উপলক্ষে দেওয়া বিশেষ ট্রেনটি চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার যাচ্ছিল। এটি বুধবার সকাল ১০টার দিকে ডুলাহাজারা স্টেশনের কাছে দুর্ঘটনায় পতিত হয়। এ সময় বিশেষ ট্রেনটির ইঞ্জিন ও দুটি বগির লাইনচ্যুতি ঘটে। তিনি জানান, দুর্ঘটনার পর থেকেই লাইনচ্যুত ইঞ্জিন ও দুটি বগি সরিয়ে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। দ্রুত এই রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করতে সংশ্লিষ্টরা কাজ করছেন।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, কক্সবাজারগামী বিশেষ ট্রেনের ইঞ্জিন ও দুটি বগি লাইনচ্যুতির ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। দুর্ঘটনার পর পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে রয়েছে।