চকবাজার ওয়ার্ডে ভোট গ্রহণ কাল

নিরাপত্তায় প্রস্তুত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী শেষ দিন প্রার্থীদের মরিয়া প্রচারণা

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ৬ অক্টোবর, ২০২১ at ৫:০৯ পূর্বাহ্ণ

আগামীকাল বৃহস্পতিবার ১৬ নম্বর চকবাজার ওয়ার্ডে উপ-নির্বাচনের ভোট। সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশন ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার শেষ মুহূর্তে কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রচারণায় পুরো নির্বাচনী এলাকা জমজমাট হয়ে উঠে। গতকাল রাত ১২টায় বন্ধ হয়ে যায় সকল ধরনের প্রচার-প্রচারণা। এর আগে প্রার্থীরা তাদের কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে ব্যাপক শো ডাউন করেছেন। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত পুরো ওয়ার্ড জুড়ে ছিল নির্বাচনী আমেজ।
চট্টগ্রাম জেলার সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, ৭ অক্টোবর চকবাজার ওয়ার্ডে উপ নির্বাচনে সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণের জন্য সবধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য প্রতিটি কেন্দ্রে থাকবে পর্যাপ্ত পুলিশ। কেন্দ্রের বাইরে থাকবে মোবাইল টিম। থাকবে র‌্যাব, ৫ জন নির্বাহী ম্যাজস্ট্রেট ও ১ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। ইভিএমে ভোট গ্রহণের জন্য ২৮৭ জন ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ শেষে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বুধবার প্রতিটি কেন্দ্রে ইভিএমসহ সকল নির্বাচনী সামগ্রী পাঠানো হবে। এই ওয়ার্ডের প্রতিটি কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
গতকাল ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, দুপুর দুইটা বাজতেই প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থকরা গ্রুপে গ্রুপে বিভিন্ন অলি-গলিতে গণসংযোগের জন্য জড়ো হচ্ছেন। কোনো প্রার্থীরই দৌড়ঝাঁপের কমতি ছিল না। শেষবারের মতো প্রার্থীরা প্রতিশ্রুতির বন্যা নিয়ে হাজির হয়েছেন ভোটারের দুয়ারে। গণসংযোগ-মিছিল-পথসভায় ভোটারদের প্রতি ছিল নানান প্রতিশ্রুতি। নির্বাচনে বিএনপির একজন এবং আওয়ামী লীগের ২০ জনসহ মোট ২১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ওয়ার্ডের ১৫ কেন্দ্রের ৮৬ বুথে ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
চকবাজার ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা ৩২ হাজার ৪২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১৬ হাজার ২১৬ জন এবং নারী ভোটার ১৫ হাজার ৮২৫ জন। সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণের জন্য চকবাজার থানা প্রার্থী ও প্রার্থীর প্রতিনিধিদের নিয়ে গতকাল সকালে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে তারা ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমক ভোটে সাড়া নেই
পরবর্তী নিবন্ধ৫০০ টাকার ফি ৩ হাজার টাকা করার প্রস্তাব