ঘোষণা ছাড়াই সাম্পান মাঝিদের ধর্মঘট

কর্ণফুলীতে যাত্রী পারাপার বন্ধ দুর্ভোগে শিক্ষার্থীসহ শতশত মানুষ

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১ at ৫:৫০ পূর্বাহ্ণ

ঘাট ইজারার দাবিতে কর্ণফুলী নদীর সাম্পান মাঝিদের ধর্মঘট শুরু হয়েছে। এতে করে দক্ষিণ চট্টগ্রামের কয়েক হাজার মানুষ চরম বেকায়দায় পড়েছেন। সাম্পান মাঝিরা কর্ণফুলী নদীর পুরাতন ব্রিজঘাট হতে যাত্রী পারাপার বন্ধ করে দেয়ায় গতকাল সকাল থেকে যাত্রী পারাপার বন্ধ রয়েছে। কোন ধরনের পূর্ব ঘোষণা ছাড়া হঠাৎ সাম্পান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে বহু মানুষ। বিশেষ করে পোশাকশিল্পের শ্রমিক, সবজিচাষি ও বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা গতকাল ঘাটে এসে সাম্পানের অভাবে নদী পার হতে পারেন নি। অনেকেই দীর্ঘপথ ঘুরে কর্ণফুলী শাহ আমানত সেতু পার হয়ে নগরীতে এসেছেন।
সাম্পান মাঝিরা জানায়, এই নৌপথে প্রতিদিন প্রায় তিন হাজার যাত্রী পারাপার করে। তাদের অভিযোগ, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ঘাটটি ইজারা না দিয়ে স্থানীয় কিছু লোক দিয়ে জনপ্রতি ৫ টাকা করে আদায় করছে। এ বিষয়ে সিটি মেয়রকে অভিযোগ দেওয়ার ১৫ দিন পরও কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় সাম্পান মাঝিরা এই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে।
কর্ণফুলী নদী সাম্পান কল্যাণ সমিতির উপদেষ্টা আলীউর রহমান বলেন, কর্ণফুলীতে যত ঘাট আছে, সবগুলো সিটি করপোরেশন ইজারা দেয়, মাঝিরা নেয়। মাঝিরা যাত্রী প্রতি দুই টাকা করে সিটি করপোরেশনের জন্য রাখে। আর যে ঘাটে টোল কম সে ঘাটে এক টাকা করে সিটি করপোরেশনকে দেয়। কিন্তু এই ঘাটটি সিটি করপোরেশন ইজারা না দিয়ে স্থানীয় কিছু সন্ত্রাসীকে দিয়ে দিয়েছে। তারা চাঁদা তুলে কিছু সিটি করপোরেশনকে দেয়, আর কিছু নিজেরা রাখে। গত সপ্তাহে আমরা সরাসরি মেয়রকে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। মেয়র সেটা পাসও করেছেন। এরপরও এ ব্যাপারে কোনো অ্যাকশন নেওয়া হয়নি।
তিনি আরও বলেন, সিটি করপোরেশন যদি ঘাট ইজারা না দেয় নিয়ম হচ্ছে করপোরেশনের একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা গিয়ে জনপ্রতি ২ টাকা করে টোল আদায় করবেন। মেয়রকে চিঠি দেওয়ার ১৫ দিন হয়ে গেলেও কাজের কাজ কিছু হয়নি। এতে করে গতকাল সকাল থেকে মাঝিরা ঘাট বন্ধ করে দিয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশ্রেণিকক্ষে ময়লা শিক্ষা কর্মকর্তা ও অধ্যক্ষ বরখাস্ত
পরবর্তী নিবন্ধচলন্ত লঞ্চ থেকে চার শিশুকে ফেলে দেওয়া হলো মেঘনায়!