নগর যুবলীগের কমিটি ঘোষণার আগেই একটি গ্রুপ কমিটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উচ্ছ্বাসে মেতেছে। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পদ নিয়ে একাংশের নেতাকর্মীরা গত কয়েকদিন ধরে সরগরম। এই অংশের নেতাকর্মীরা সামাজিক মাধ্যমে তাদের সম্ভাব্য প্রার্থীদের (সভাপতি–সাধারণ সম্পাদক) ছবি দিয়ে আগাম শুভ কামনা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
তাদের অনুসারীরা কেন্দ্রীয় যুবলীগের সভাপতি শেখ ফজলে শামস পরশের সঙ্গে নিজেদের নেতার ছবি পোস্ট করে তাতে আগাম শুভ কামনা জানিয়েছেন। এই নিয়ে নগর যুবলীগের রাজনীতি গত তিন দিন ধরে সরগরম হয়ে উঠেছে। আবার অপর গ্রুপের নেতাদের মধ্যে বেড়েছে উদ্বেগ–উৎকণ্ঠা। তবে অপর গ্রুপের অনেকে এই প্রচারণাকে কটাক্ত করে পাল্টা পোস্ট দিয়ে নিজেদের অনুসারীদের শুনিয়েছেন আশার বাণী।
মহানগর যুবলীগের সম্মেলন হয়েছিল গত বছরের ৩০ মে। সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে কমিটির বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তে যেতে পারেননি সম্ভাব্য সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা। তখন কমিটি বিষয়ে যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল তাদের ওপর আস্থা রাখার আহ্বান জানিয়ে দ্বিতীয় অধিবেশন শেষ করেন। ঢাকা থেকে কমিটি দেওয়ার ঘোষণা দেন। তবে সম্মেলনের পর প্রায় এক বছর হতে চললেও এখনো পর্যন্ত কমিটি ঘোষণা হয়নি। একই সময়ে সম্মেলন হলেও দক্ষিণ এবং উত্তর জেলার কমিটি ঘোষণা হয়ে গেছে।
কেন্দ্রীয় যুবলীগের নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানায়, ১৫ মে’র মধ্যে যে কোনো সময় নগর যুবলীগের কমিটি ঘোষণা করা হতে পারে। নগর যুবলীগের সম্ভাব্য চার শীর্ষ নেতা থেকে যে কোনো দুজন সভাপতি–সাধারণ সম্পাদক হচ্ছেন–এটা প্রায় নিশ্চিত। ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় যুবলীগের এক শীর্ষ নেতা নগর যুবলীগের বেশ কয়েকজন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীর সঙ্গে কথা বলে তাদের মতামত নিয়েছেন। যিনি সভাপতির জন্য বায়োডাটা দিয়েছেন তাকে সাধারণ সম্পাদক বা অন্য কোনো পদে রাখলে কাজ করতে অসুবিধা আছে কিনা জানতে চেয়েছেন। কোন দুজন নগর যুবলীগের কাণ্ডারী হচ্ছেন ইতোমধ্যে তারা আভাস পেয়েছেন।