প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ এর প্রভাবে কক্সবাজার সমুদ্রে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত জারি করেছে আবহাওয়া অফিস। এটি কক্সবাজার থেকে ৪১০ কিমি. পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছে।
মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের প্রধান মো. ইমাম উদ্দীন।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে উত্তাল রয়েছে কক্সবাজারে সমুদ্র। সংকেতে উপেক্ষা করে পর্যটকরা সমুদ্রে নামছেন। তারা হাঁটু পানিতে সমুদ্রস্নানে মগ্ন রয়েছেন। সৈকতে সতর্কতামূলক লাল পতাকা টাঙানো হলেও সেদিকে খেয়াল নেই কারো।
তবে ট্যুরিস্ট পুলিশ ও বিচকর্মীরা মাইকিং করে তাদের পানি থেকে উঠে আসতে বলছেন। লাইফগার্ড কর্মীরা সজাগ রয়েছেন যেন পর্যটকরা হাঁটু পানির দূরে না যান।
সকালে দুর্যোগ মোকাবেলায় জরুরি সভা করেছে জেলা প্রশাসন। সভায় জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় হামুন মোকাবেলায় ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রগুলো খুলে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মজুদ রয়েছে পর্যাপ্ত শুকনো খাবার ও নগদ অর্থ।’
আবহাওয়াবিদ মো. ইমাম উদ্দিন বলেন, ‘কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারী সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টি আজ মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) সকাল ৯টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৪৫ কি.মি. পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৪১০ কি.মি. পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩২৫ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩১০ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরো উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে আগামীকাল (২৫ অক্টোবর ২০২৩) সকাল থেকে দুপুর নাগাদ ভোলার নিকট দিয়ে বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূল ঘূর্ণিঝড় হিসেবে অতিক্রম করতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কি.মি. এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১০ কি.মি., যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১১০ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটে সাগর উত্তাল রয়েছে। জোয়ারের চেয়ে ৩-৫ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।’
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজয়নের সহাকরী পুলিশ সুপার মিজানুজ্জামান বলেন, ‘বিপদ সংকেতের ব্যাপারে পর্যটকদের সচেতন করা হচ্ছে। পাশাপাশি মাইকিং ও টহল জোরদার রয়েছে। আমাদের একাধিক টিম মাঠে রয়েছে।’