চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) ৩ কোটি ২১ লাখ টাকার উন্নয়ন কাজে ৬১ লাখ টাকা ঘুষ নেয়ার অভিযোগ ওঠার পর সংস্থাটির দুই প্রকৌশলীকে ওএসডি করা হয়েছে। একইসঙ্গে ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়। গতকাল এ বিষয়ে পৃথক দুটি অফিস আদেশ জারি করেন চসিকের সচিব মোহাম্মদ আশরাফুল আমিন।
অভিযুক্ত দুই প্রকৌশলী হচ্ছেন চসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্ব) রিফাতুল করিম চৌধুরী এবং উপসহকারী প্রকৌশলী জয়নাল আবেদিন। তাদের ওএসডি করে জারি করা অফিসে আদেশে বলা হয়, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তাদের বর্তমান দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে প্রধান কার্যালয়ে সচিবালয় বিভাগে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) হিসেবে ন্যস্ত করা হল। এদিকে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক করা হয় চসিকের পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা কমান্ডার লতিফুল হক কাজমীকে। এছাড়া আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিমকে সদস্য সচিব ও আইন কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিনকে সদস্য করা হয়। কমিটিকে ১০ কর্মদিবসের মধ্যে বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বলা হয়েছে। বিষয়টি চসিকের জনসংযোগ থেকে শাখা থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে।
চসিক সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের সড়ক উন্নয়ন কাজের দরপত্র আহ্বান করা হয়। ৩ কোটি ২১ লাখ ২৭ হাজার ৯১৯ টাকার এ উন্নয়ন কাজ করে নাওয়াল কনস্ট্রাকশন এবং মা–বাবা কনস্ট্রাকশন কোম্পানি। প্রতিষ্ঠানটির মালিক আয়নুল হাসানের অভিযোগ, দরপত্র থেকে শুরু করে বাস্তবায়ন পর্যন্ত বিভিন্ন পর্যায়ে তার কাছ থেকে ৬১ লাখ টাকা ঘুষ নেয়া হয়। এর মধ্যে জয়নাল আবেদিন নিজ হাতে নগদ নিয়েছেন ৪২ লাখ টাকা এবং তার স্ত্রীর ব্যাংক হিসাবে জমা দেওয়া হয় সাড়ে ১০ লাখ টাকা। এছাড়া বাকি টাকা অন্যদের দিতে হয়েছে।